শিয়রে নির্বাচন। আর তার মধ্যেই দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে চলে এলো। আর তার জেরে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হল শাসকদলের। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর প্রচারকে ঘিরে ব্যারাকপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। প্রচার সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি, বাইরে থেকে লোক এনে ভিড় দেখানো হয়েছিল। সোশ্যল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে এই অভিযোগ করলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। আর তাঁর সভাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেই বাঁধল কোন্দল। কারণ এই সভাকে কেন্দ্র করে ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্যারাকপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বিদায়ী কাউন্সিলরকে না জানিয়েই এলাকায় প্রচারের আয়োজন করেছেন ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক। এমনকী তারকা প্রার্থীর প্রচারে ভিড় বাড়াতে বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও বিদায়ী কাউন্সিলের স্বামী প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘ব্যারাকপুরে প্রশাসক উত্তম দাস তার নিজেদের লোক নিয়ে রাজ চক্রবর্তীকে তিন নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়েছেন।’এই ঘটনায় প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পুর প্রশাসক উত্তম দাসের দাবি, ফেসবুকে এইসব পোস্ট না করে দলের মধ্যেই আলোচনা করলে বিষয়টি মিটে যেতে পারত। আগামী ২২ এপ্রিল ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের রাজ চক্রবর্তীর বিপক্ষে বামেদের হয়ে লড়ছেন দেবাশিস ভৌমিক। ব্যারাকপুরে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। তবে এভাবে যদি গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে আসে তাহলে তা ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে।