বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভের কথা জানালেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেওয়া হল না তা দল আমাকে জানাতে পারতো। এদিন দীপেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি দলের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। বসিরহাটে বিরোধী বলে কিছু নেই। ওখানে আমার বাবা থাকেন। গত ৫ বছর লাগাতার বাড়ি থেকে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। তাই কেন আমাকে টিকিট দেওয়া হল না তা আমাকে জানাতে পারতো। আমার সঙ্গে সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল সম্পর্ক। এটুকু আশা করেছিলাম।’তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমার পরিবারের ওপর প্রভাব পড়েছে। আমার বাবা সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছেন। তিনিও আমার হয়ে মানুষের সঙ্গে ছিলেন। আমি করোনার সময় রাত ১টা পর্যন্ত এলাকায় ঘুরেছি। তার পর বাড়ি এসে স্নান করে মেয়ের মুখ দেখেছি। দল আমাকে একবার জানাতে পারতো। এলাকায় পরিবারের একটা মান সম্মান রয়েছে তো?’বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক দীপেন্দু। ২০১৪ সালের উপনির্বাচনে প্রথম প্রার্থী হন তিনি। তবে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে তাঁর পরাজয় হয়। ২০১৬ সালে ফের তাঁর ওপরেই ভরসা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্বাচনে প্রায় ২২ হাজার ভোটে তিনি শমীকবাবুকে হারান। এবার ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।