ভোটের আগের রাতেই রক্ত ঝরল মুর্শিদাবাদে। ডোমকলের শাহবাজপুরে মৃত্যু হল এক সিপিআইএম কর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু'জন। সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জাফিকুল ইসলামের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে সিপিআইএম কর্মীর। ইচ্ছাকৃতভাবেই ধাক্কা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে একাধিক গাড়ি নিয়ে শাহবাজপুরে আসেন তৃণমূলের লোকজন। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তা নিয়ে আপত্তি তোলেন বামকর্মীরা। নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তারপরই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জাফিকুলরা। সেই সময় গাড়ির ধাক্কায় তিনজন সিপিআইএম কর্মী আহত হন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের নাম আবদুল কাদির মণ্ডল। নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করা এক ব্যক্তির অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে সভা করছিল তৃণমূল। তা নিয়ে আপত্তি তোলে সিপিআইএম। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তারপর সিপিআইএম কর্মীদের গাড়িতে পিষে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তাঁর। অপর এক স্থানীয়ের দাবি, একটি ধর্মীয় স্থানের ভিতরে ঢুকে অস্ত্র দিচ্ছিলেন তৃণমূলের লোকজন। মৃতের পরিবারেরও দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই ধাক্কা মারা হয়েছে আবদুলকে। মৃতের মায়ের মায়ের অভিযোগ, দু'তিনবার আবদুল-সহ সিপিআইএম কর্মীদের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইচ্ছা করে মেরে ফেলেছে তৃণমূলের লোকেরা। ইচ্ছাকৃতভাবে মেরে ফেলেছে। অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। ভয় দেখাচ্ছিল। আমার ছেলে ভয় পায়নি।’ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর দাবি, গতরাতে শাহবাজপুর দিয়ে এসেছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে মাত্র একটি গাড়ি ছিল। কোনও সভাও করেননি। বরং এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় তিনি জানতে পারেন যে কয়েকজনের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চলে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তাঁর গাড়িতে ধাক্কা লাগলে তো নিশ্চয়ই কোনও ভিডিয়ো থাকবে। সেই ভিডিয়ো দেখাতে পারলে 'দায়' স্বীকার করবেন।