দ্বিতীয় দফার নির্বাচন বৃহস্পতিবার শুরু হবে। তারপরও বাকি থাকবে ৬ দফার নির্বাচন। সেখানে ‘লিফলেট’ কাণ্ড নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই বিধানসভা কেন্দ্র চন্দ্রকোণা এবং কেশপুর। এই এলাকায় দুটি লিফলেট ছড়িয়ে পড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। আর সেখানে ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে তুঙ্গে উঠেছে পাশের জেলার বাতাবরণ।তবে এখানেও ১ এপ্রিল, পশ্চিম মেদিনীপুরের ন’টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রকোনা এবং কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রও। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ওই লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হয় দুই বিধানসভা কেন্দ্রে। দুই লিফলেটের বয়ান প্রায় একইরকম— সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে ভাল ফল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার এই লিফলেটের প্রচারকারী হিসাবে দাবি করা দুই সংগঠনের নাম। দু’টি লিফলেটের একটিতে রাজ্য পুলিশ অন্যটিতে আরএসএস–এর প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাতেই তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক বাতাবরণ।এই লিফলেট বাজারে চাউর হতেই অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে বিজেপির অন্দরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বাধ্য হয়ে পুলিশ এবং সঙ্ঘকে প্রতিক্রিয়া দিতে হয়। এদিন মেদিনীপুর জেলা পুলিশ এবং সঙ্ঘ পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন কোনও প্রচারপত্র বিলি করেনি তারা। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, আড়ালে থেকে আসলে বিজেপিই এইসব করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।পুলিশ সূত্রে খবর, দু’টি লিফলেটেই জেলার দুই বিধানসভা কেন্দ্রের সমীক্ষাভিত্তিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের নাম করে দেওয়া লিফলেটে, কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় ১৪–১৫ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আরএসএসের লিফলেটেও দাবি করা হয়েছে, চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির থেকে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলায় বিজেপির খারাপ ফলের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দু’টি লিফলেটেই রয়েছে ভোটের দু’দিন আগের তারিখ, ২৯ মার্চ।এই লিফলেট কাণ্ডে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘দু’ধরনের লিফলেট আমরা উদ্ধার করেছি। অভিযোগও জমা পড়েছে। দুটি ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ বিজেপি জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারির অভিযোগ, জেলার বিধানসভা এলাকাগুলিতে পুলিশের প্রতীক ও নাম ব্যবহার করে লিফলেট বিলি করেছে আসলে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ধরনের কাজ সঙ্ঘ করতে পারে না। বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘লিফলেট বিলি করার প্রয়োজনও নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপি নোংরা রাজনীতির জন্য এই সব করে বেড়াচ্ছে।’