বিনোদ শর্মাজনতা দল সেকুলারের নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবাকুমারের সঙ্গে তাঁর কোনও বোঝাপড়া নেই। আগামী ১০ মে কর্ণাটকে ভোট। তার আগে সমীকরণটা পরিষ্কার করে দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া।৮৯ বছর বয়সি দেবেগৌড়া। তিনি জানিয়েছেন, ফালতু মাথা চুলকে কিছু হবে না। কোনও মানে হয় না। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানিয়েছেন।সিদ্ধারামাইয়ার জেডিএস থেকে কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। তার সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল দেবেগৌড়াকে। ২০১৩ সালে তিনিই একমাত্র পুরোপুরি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে দেবেগৌড়া বলেন, সেদিন আর নেই। এখন কংগ্রেসে আরও ভালো উপযোগী নেতা আছে।এদিকে বর্তমানে কর্ণাটকে কার্যত ত্রিমুখী লড়াই শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমারের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই তুঙ্গে।এদিকে দেবেগৌড়া ও শিবকুমার উভয়ই ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের। কর্ণাটকের মোট জনসংখ্যার মধ্যে তারা ১৫ শতাংশ। লিঙ্গায়তের সংখ্যা ১৭ শতাংশ। তারাই কর্ণাটকের রাজনীতিতে মূল প্রভাবশালী শক্তি। এদিকে ১৯৯০ সালে লিঙ্গায়েতরা কার্যত কংগ্রেসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে ভোক্কালিগার একটা বড় অংশ জেডিএসের সঙ্গে রয়েছেন।দেবেগৌড়ার দাবি কিছু কংগ্রেসি বন্ধু ঘটনাচক্রে তাদের সঙ্গে বিগতদিনে একমত হতে পারেননি। তার জেরেই বিজেপি সরকার বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে।কর্ণাটকে কার্যত জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। মাটি কামড়ে লড়াই করছে কংগ্রেস ও বিজেপি। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্ব জনসংযোগের সব রকম উদ্যোগ নিয়েছে। অন্য়দিকে বিজেপিও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর ক্রমেই চড়াচ্ছেন। একাধিক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব দফায় দফায় কর্ণাটকে যাচ্ছেন। কারণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার কর্ণাটকের লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ের কাছেই কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। বিনা যুদ্ধে কেউ যে কাউকে এক ইঞ্চি রাজনৈতিক জমিও দেবে না সেটা ভোটের লড়াই দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।