বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে এবার লোকসভা নির্বাচনে চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছে ইন্ডিয়া জোট। একাধিক রাজ্যে ভালো ফল করেছে ইন্ডিয়া জোট। বিশেষ করে যোগীর গড় উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ৩৭ টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছে ছটি আসন। জয়ের পরেই উত্তর প্রদেশের মানুষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে, কংগ্রেসের গ্যারান্টি কার্ড। কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘গ্যারান্টি কার্ড’ ইস্যু করে মহিলাদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর জয়ের পরেই সেখানে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। লখনউতে কংগ্রেস পার্টি অফিসের সামনে লম্বা লাইন দেখা যায় মহিলাদের। তাদের তাদের দাবি, গ্যারান্টি কার্ড দিতে হবে।
আরও পড়ুন: অখিলেশের PDA-পিছিয়ে, দলিত ও অল্পসংখ্যক ফর্মুলায় কুপোকাত বিজেপি!
ফল প্রকাশের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই লখনউয়ে কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে লম্বা লাইন পরে। তা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় কংগ্রেস নেতাকর্মীদের। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে গ্যারান্টি কার্ডকে হাতিয়ার করেছিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে দলের অন্যান্য নেতারা এনিয়ে জোর প্রচার করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের একজন মহিলাকে বছরে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
রাজ্য কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দীনেশ সিং বলেছেন, দল নির্বাচনের আগে গ্যারান্টি কার্ড দিয়েছে। যেখানে সরকার গঠনের পর ১ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। নির্বাচনের আগে এসব কার্ড বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য, ঘরে ঘরে গ্যারান্টি কার্ড বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস কর্মীদের। এখন নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও কর্মীরা জনগণের মধ্যে গ্যারান্টি কার্ড বিতরণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণের পর দলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুবিধা পাওয়ার জন্য জমা দেওয়ার সময় রশিদও দিচ্ছেন বলে জানা যায়। এদিন যে মহিলারা ভিড় করেছিলেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের । বেশ কিছু মহিলা কংগ্রেস কার্যালয়ে দাবি করেন, তারা গ্যারান্টি কার্ড পেয়ে গিয়েছেন। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার জন্য তারা ফর্ম জমা দিয়েছেন। এমনকী কংগ্রেস কার্যালয় থেকে রশিদও পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেস যে ২৫টি গ্যারান্টি নিয়ে প্রচার চালিয়েছিল তার মধ্যে এটি একটি। তবে সব মিলিয়ে ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৪টি আসন, অন্যদিকে এনডিএ পেয়েছে ২৯২ টি আসন। গড়তে করতে গেলে দরকার ২৭২ টি আসন। এখনও পর্যন্ত এনডিএ’র সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি। ফলে সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়া জোটের সরকার গঠন সম্ভব নয়। তাই আপাতত মহিলাদের মোদীর গ্যারান্টিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।