বাম–কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা অসম্পূর্ণ কেন? এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে যেটা জানা গিয়েছে সেটা হল— আসন সমঝোতা এখনও তাঁদের মধ্যে সম্পন্ন হয়নি। দু’পক্ষের মধ্যে শুধু আলোচনা চলছে। রফাসূত্র এখনও অধরা। আর এই আলোচনা চলার সময়েও কংগ্রেসের ধীরে চলো নীতি নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে বাম শিবিরের অন্দরে। বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিকদের পাশাপাশি সিপিএম নেতাদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে উষ্মা। আসন সমঝোতা ভেস্তে যাক সেটা চাইছে না কোনও পক্ষই। তবে বামপন্থী নেতারা কংগ্রেসের যে সক্রিয়তা দেখা যাবে ভেবেছিলেন সেটা না পেয়েই উষ্মাপ্রকাশ করছেন।
এদিকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে আগে থেকেই প্রাক্তন বিধায়ক মিলটন রশিদের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এটা চেয়েছিল বামেরা। আর বীরভূম জেলার বোলপুর আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি ছিল। সুতরাং ক্ষুব্ধ হয় বামেরা। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র এখানে এসে বলেছেন, ‘বীরভূম আসনে আমরা লড়তে চাই। কংগ্রেসের নেতারাও জানেন এই জেলার দু’টি আসনের মধ্যে বীরভূম আসন আমাদের কাছে বেশি পছন্দের ছিল। কিন্তু কংগ্রেস আগেই এই আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। ওঁরা জোর করছিলেন এই আসনের জন্য। তবে একটা আসনের জন্য তো জোট ভেঙে যেতে পারে না। আমাদের লড়াই বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাই জেলার দু’টি আসনেই আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে লড়ব।’
আরও পড়ুন: সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ‘গোঁজ’ প্রার্থী দেখা দিয়েছে, বাঁকুড়ায় সরগরম ভোটের রাজনীতি
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বামেরা ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তারপরও সেখানে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সুতরাং সমঝোতা অধরাই থেকেছে। জোট ধাক্কা খেয়েছে এখানে। পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের নেপাল মাহাতো–কে প্রার্থী করা হয়েছে। এখানে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল বামেরা। সুতরাং একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘বামফ্রন্টের কয়েকজন শরিক দলের মনোভাবই সমস্যার মূল কারণ। তবে সব কিছু থাকলে আলোচনা করেই মিটিয়ে নেওয়া হবে।’ আর কবে মিটিয়ে নেওয়া হবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।