এখনও একটি দফার ভোট বাকি আছে। তবে এরই মধ্যে মোদীর 'সম্ভাব্য জয়ের' কথা মাথায় রেখে শুরু হয়ে গিয়েছে শপথগ্রহণের তোড়জোড়। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারে এনডিএ জয়ী হলে শপথগ্রহণের প্রথা ভাঙতে পারেন মোদী। ১ মাস আগেই নাকি এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলমান সাধারণ নির্বাচনে এনডিএ জয়ী হলে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী শপথ নিতে পারেন ৯ জুন। এদিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে শপথগ্রহণ না করে এবারে মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিতে পারেন কর্তব্যপথে। বিষয়টির সম্পর্কে অবগত দুই উচ্চপদস্থ আমলা দাবি করেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আরও বেশি সংখ্যক অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় এনডিএ। তাই রাষ্ট্রপতি ভবনের জায়গায় কর্তব্যপথে শপথ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়, এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা নাকি ১ মাস আগে থেকেই চলছে। (আরও পড়ুন: 'লিড নেব',ভোট সপ্তমীর আগে বাংলায় BJP'র আসন সংখ্যা নিয়ে 'প্লাস-মাইনাস' দাবি শাহের)
আরও পড়ুন: '...বিশ্বে কেউ গান্ধীকে চিনত না', কংগ্রেসকে তোপ দাগতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি মোদীর
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই আমলা বলেন, 'সরকারের সাফল্য ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার একটি পটভূমি তৈরি করতেই কর্তব্যপথে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান করা হতে পারে। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অনেকগুলি নতুন কাঠামো প্রস্তুত এবং তাই এটি একটি বিকশিত ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।' এদিকে সেই দুই আমলা জানান, ওপরে ওপরে পরিকল্পনার ছক কষা হলেও এই সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হবে ফল প্রকাশের পরই। সেই ক্ষেত্রে দিল্লির আবহাওয়াও বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনসেক্সে 'ধসের' পর শেয়ার বাজার নিয়ে বড় দাবি শাহের, বললেন- '১২০০-১৩০০ পয়েন্ট…'
এদিকে এই নিয়ে অপর এক সরকারি আধিকারিক দাবি করেন, গত ২৪ মে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার শাখায় সম্ভাব্য শপথ অনুষ্ঠানের রূপরেখা নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে পাবলিক ব্রডকাস্টার অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে অবশ্য শপথের স্থান বা দিনক্ষণ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে ২০১৯ সালের শপথগ্রহণে আগত ৮০০০ জনের থেকে যে এবারে অতিথি সংখ্যা বেশি হবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল সেই বৈঠকে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের জন্য প্রায় ১০০ টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে বলা হয়, ফল প্রকাশের পর ৪-৫ দিন প্রস্তুতির জন্য মিলবে। এদিকে আগামী ১৩ ও ১৪ জুন ইটালিতে জি৭ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে নির্বাচনে জিতলে তার আগেই মোদী শপথ নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে ২৬ মে সোমবার শপথ নেয় এনডিএ সরকার। ওই বছরের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল ১৬ মে। এদিকে ২০১৯ সালে ৩০ মে বৃহস্পতিবার শপথ নেয় এনডিএ সরকার। সেবারে ২৩ মে ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এবারে ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এর আগে গত দু'বারই রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মোদী।