রাত পোহালেই রবীন্দ্রজয়ন্তী। অর্থাৎ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ওই দিন আপামর বাঙালি থেকে শুরু করে নেতা–মন্ত্রীরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। কলকাতা এবং জেলায় নানা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত থাকেন নেতা–মন্ত্রীরা। কিন্তু এবার কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা। কারণ এই কাজে বাধ সেধেছে নির্বাচন কমিশন। এখন লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে কড়া সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বুধবার রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না। এমনকী মুখ্য়মন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না। শুধু থাকবেন সরকারি অফিসাররা বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার রাজ্যে তৃতীয় দফার নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিকেলে তা শেষও হয়ে যাবে। আর তারপরই ২৫ বৈশাখ। ওইদিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তাই এই উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে প্রত্যেকবারের মতো এই বছরও রাজ্য় সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র সদনে। প্রত্যেক বছরের অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা। এবার সেটি আর হচ্ছে না। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও। আজ, মঙ্গলবার ভোট হবে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরে। অর্থাৎ চারটি লোকসভা কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: ‘দেখবেন বীরভূমের ভোট হয়ে যাবে, কেষ্টও ছাড়া পেয়ে যাবে’, অনুব্রতর প্রশংসা করলেন মমতা
কিন্তু রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান কি করা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাছে। কারণ এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। যদিও রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলায় কোনও নির্বাচন নেই। চতুর্থ দফার নির্বাচন হবে ১৩ মে। আগেও দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পয়লা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি অফিসাররাই। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট ছিল বঙ্গে। ১৪ এপ্রিল ছিল পয়লা বৈশাখ। কিন্তু তাতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও।