বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়কের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয় বলে আজ কলকাতা হাইকোর্টে ছুটেছেন তিনি। এই আবহে এবার গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির এক নেতাকে। এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন ঘটনায় বেশ টেনশন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে। গ্রেফতার করা হয়েছে তারকেশ্বর রাও ওরফে শ্রী রাও নামে খড়গপুরের এক বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে। মেদিনীপুর আদালতে তিনি আগাম জামিন চাইতে গেলে তা খারিজ হয়। তারপরই রাতে গ্রেফতার করা হয় শ্রী রাওকে। মারামারি করার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের আগেই বিজেপি নেতার গ্রেফতারে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে জেলাজুড়ে।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। তা নিয়ে এখন কলকাতা হাইকোর্টে ছুটেছেন বিরোধী দলনেতা। সুতরাং হিরণ–শুভেন্দুর পথ এখন আদালতে গিয়ে মিশেছে। এই আবহে বিজেপির খড়গপুর সদর ২ নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি তারকেশ্বর রাওকে ওরফে শ্রী রাওয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে তারকেশ্বর রাওয়ের পরিবারের এক সদস্য জানান, মাঝরাতে পুলিশ খড়গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়ার বাড়িতে আসে। তারকেশ্বর বাড়িতে আছেন কি না জানতে চায় পুলিশ। পুলিশকে সকালে আসার কথা বলা হলেও তারা প্রথমে পাঁচিল টপকে এবং পরে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। তারপর তারকেশ্বর রাওকে গ্রেফতার করে নিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: ‘সৌরভ দাদার শালবনিতে ইস্পাত কারখানার কি হল!’, এক্স হ্যান্ডেলে খোঁচা তথাগতর
অন্যদিকে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে জানালেও তাতে লাভেল লাভ কিছুই হয়নি। বরং ওই রাতেই ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়তের বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই খড়গপুরে পৌঁছন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক তমোঘ্ন দে’র বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। হিরণের অভিযোগ, কী কারণে এই অভিযান সেটা জানায়নি পুলিশ। তল্লাশি চালানোর অনুমতি সংক্রান্ত কাগজ পুলিশ দেখায়নি।
এতদিন রাজ্য ইডি–সিবিআই–আয়কর–এনআইএ’র দাপট দেখা গিয়েছিল। এবার পাল্টা রাজ্য পুলিশের দাপট শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখন তৎপরতা বা দাপট দেখিয়েছিল তখন তৃণমূল কংগ্রেস সহযোগিতাই করেছিল। শুধু সন্দেশখালির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে। সেখানে রাজ্য পুলিশ বিজেপি নেতা, প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে যেতেই রে রে করে উঠছেন তাঁরা। তাহলে কি কোনও গড়মিল আছে? উঠছে প্রশ্ন। এই বিষয়ে হিরণ বলেন, ‘আমি ঘাটাল লোকসভার প্রার্থী। আমার পিএ’র মা অসুস্থ, হার্টের রোগী। তাঁর বাড়িতে মাঝরাতে পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে। কিন্তু তদন্তের কোনও কাগজ দেখাচ্ছে না।’