আজ, শুক্রবার বাংলার রানাঘাটে প্রচারে করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচার করলেন তিনি। এখান থেকেই তিনি জানালেন, জগন্নাথ সরকারকে একটি ভোট দেওয়া মানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়া। তাঁর ভাষণে উঠে এল সিএএ, সন্দেশখালি, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির ইস্যু। আর শাহের খোঁচা, সারা দেশে সব থেকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। সন্দেশখালি ইস্যুতে বিশেষ ঝাঁঝালো বক্তব্য রাখেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসলে সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফাঁস থেকে শুরু করে গ্রামের মহিলারা বেরিয়ে এসে সত্য সামনে আনতেই চাপ বেড়ে গিয়েছে বিজেপি নেতাদের।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয় বলে কটাক্ষ করেন শাহ। অমিত শাহের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্যই সিএএ’র বিরোধিতা করছেন। সন্দেশখালি নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়া সত্ত্বেও সন্দেশখালিতে মহিলারা ‘নির্যাতিতা’ হয়েছেন। যদিও সন্দেশখালির ভিডিয়ো কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেননি শাহ। রানাঘাটের পর আসানসোল, বীরভূম কর্মসূচি করেন শাহ। নির্বাচনী প্রচারে শাহ বলেন, ‘সন্দেশখালির দোষীরা শাস্তি পাবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে সিএএ’তে বাধা দিচ্ছেন। আপনাদের নাগরিকত্ব প্রদানে বাধা দিচ্ছেন। দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা— সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে।’
আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে করিডর, চেম্বারের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করুন’, রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
অন্যদিকে রানাঘাট মতুয়াদের গড় বলেই পরিচিত। আর সেখানের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা থেকে সিএএ ইস্যুতে তাঁর সরব হন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা নিয়ে অমিত শাহের বক্তব্য, ‘সিএএ দেশে কার্যকর হওয়া উচিত কি না, বলুন। বহু মানুষ আজও নাগরিকত্ব পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার তা দিতে চাইছে। কিন্তু ভোট রাজনীতির জন্য তাতে বাধা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব। আমি বলতে চাই, এত বছরে বাংলাকে বরবাদ করেছেন। কাটমানি আটকানো উচিত কি না, আপনারা বলুন? অনুপ্রবেশ, বিস্ফোরক, সন্দেশখালির মতো ঘটনা কি আটকানো উচিত কি না।’