
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন বদলানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তাঁর এই অভিযোগ সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: বিষ্ণুপুরে স্ট্রংরুম থেকে EVM বদলের চেষ্টার অভিযোগ, রিপোর্ট তলব করল কমিশন
বাঁকুড়া পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে একটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইভিএম মেশিন নির্বাচন কমিশনের সুরক্ষা বিধি মেনেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। সুরক্ষার দিক থেকে এখানে কোনওরকমের খামতি নেই। বাঁকুড়া পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষ্ণুপুরে ইভিএম মেশিন বদলানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলে একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। সেগুলি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। সেখানে যে পুলিশ অফিসারদের ভিডিয়ো সিআরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, সেটা আসলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের সময়কার ভিডিয়ো। এগুলি পরিদর্শন করা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রার্থীদের উপস্থিতিতে স্ট্রংরুম তালা বন্ধ করে সিল করা হয়। অন্যদিকে, ভিডিয়োতে আরও এক ব্যক্তিকে বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বহন করতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তিনি সিসিটিভি সরানোর জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। তাঁর কাছে নির্বাচন কমিশনের বৈধ পরিচয়পত্র ছিল। তাছাড়া যে সিসিটিভি সারানো হয়েছে, সেটি স্ট্রং রুমের নয়। ভিতরে থাকা সিসিটিভিগুলি নির্দিষ্ট জায়গাতেই রয়েছে। স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সকল প্রার্থীরা গত ২৭ মে সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেছেন এবং স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপার ব্যক্তিগতভাবে স্ট্রংরুম পরিদর্শন করেছেন এবং দেখেছেন যে সমস্ত নিরাপত্তা প্রোটোকল মেনেই হয়েছে। স্ট্রং রুমগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের একটি দ্বি-স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ২৪ ঘণ্টা সেখানে মোতায়েন থাকে।
উল্লেখ্য, সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের যেখানে যাওয়ার কথা নয় সেই দরজার কাছে চলে গিয়েছিল তারা। সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও আইসির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, সিসিটিভি লাগানোর নাম করে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছিল। এর জন্য সিআইএসএফের এক আধিকারিকের সঙ্গে অনেক লক্ষ টাকার ডিল হয়েছে বলেও সৌমিত্র অভিযোগ তুলেছিলেন।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports