পঞ্চায়েত ভোটের সকাল থেকে কথার লড়াই চলেছে। ছোড়া হয়েছে কটাক্ষের বাণ। আর তাতে ইতি পড়ল না রাতেও। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটগ্রহণের পর্ব মিটে যাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে রাগের মাথায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেন, তা নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর ‘who is you’ মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা খোঁচা দেন, ‘Who is you!!!! ওওওওও শুভেন্দু, ওটা Who are you হবে তো। মাথার কী অবস্থা !!’
শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জনের। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে সন্ধ্যায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আসেন শুভেন্দু। যে অফিসে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বসেন। কমিশনের অফিসের উপরেও উঠে যান। তবে অফিসের কোলাপসিবল গেট বন্ধ ছিল। সেইসময় রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। কমিশনের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
চূড়ান্ত বিরক্তির সঙ্গে গেটে লাথিও মারেন শুভেন্দু। বিরক্তির সুরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘হ্যাট’। তারপর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘তালা লাগাবে আমার সামনে! (গেটে) তালা লাগাবে! কে (কোলাপসিবল গেটে তালা) লাগিয়েছে? হু ইজ ইউ? ইয়ার্কি মারার জায়গা পান না। বেতন মমতা (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দেন?’
সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল যে খোঁচা দিয়েছেন, তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এক নেটিজেন বলেন, ‘গ্রামাটিক্যাল ভুল ধরেছেন ভালো। পাবলিক যখন আপনাদের পাবে- তখন সব ভুল শুধরে নেবে।’ অপর একজন বলেন, ‘আপনাদের মতো সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৃণমূল পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করলে তো লোকের মাথাটা তো খারাপ হবেই।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘বাঙালিরা রেগে গেলে অনেক সময় ভুল ইংরেজি বলেন। তাতে কিছু হয় না।’