আদালতের নির্দেশের পরেও বেশ কিছু প্রার্থীকে মনোয়ন পেশ করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না পারায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। মনোনয়নপর্বে হিংসার আগে ও পরে পুলিশ কতজনকে গ্রেফতার করেছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলল আদালত। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারুপতি রাজশেখর মান্থা।
রাজ্যে যে সব এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারছিলেন না সেখানে প্রার্থীদের পুলিশি এসকট করে মনোনয়নের ব্যবস্থা করতে বলেছিল আদালত। অভিযোগ তার পরেও ক্যানিং, মিনাখাঁ, ভাঙড়ের মতো এলাকায় মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি বহু প্রার্থী। মনোয়ননের শেষ দিন পুলিশের উপস্থিতিতেই ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। এমনকী গুলিও চলে। সেকথা জানিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মনোনয়ন দিতে না পারা প্রার্থীরা। আদালতের প্রশ্ন, সেদিন পুলিশ থাকলেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারলেন না? দুষ্কৃতী দমনে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? ঘটনার আগে ও পরে কতজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ? ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে সমস্ত তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
বলে রাখি, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে ভাঙড়ে পুলিশি এসকটে মনোনয়ন পেশ করতে যান ISF প্রার্থীরা। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি শুরু করতেই প্রার্থীদের ছেড়ে পুলিশ কর্মীরা পালান।