ভোটের ফল বেরোতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। তৃণমূল—বিজেপির সংঘর্ষে প্রাণও ঝড়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। এবার সোনারপুরে রাজনৈতিক হিংসার বলি হলেন এক বিজেপি কর্মী। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সোনারপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত প্রতাপ নগর এলাকার মেটিয়ারিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে হারান অধিকারী নামের এক বিজেপি সমর্থকের। ওদিকে ঘটনায় আহত হয়েছেন টুসু অধিকারী, রেখা অধিকারী, রাজু অধিকারী, পরান অধিকারী ও বাসু অধিকারী নামের বেশ কয়েকজন কর্মী—সমর্থকদের।আহতদের অভিযোগ ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে বিজেপির পতাকাও ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে, বেধড়ক মারধর করা হয় এক মহিলাকে। তখনই পাড়ার অন্য ছেলেরা এগিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে, তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত হন হারান অধিকারী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের স্ত্রী স্বর্ণলতা অধিকারী জানান, হামলার সময় তাঁর স্বামীর ঘরেই ছিলেন। তবে কখন তাঁকে ঘর থেকে টেনে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা তিনি নিজেও জানেন না। ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। যদিও এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা পার্থ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ যদি কেউ জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।