শুভব্রত মুখার্জি:- ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তিনি। তাঁর সঙ্গে শেষ কয়েক বছর বিদেশ সফরে দেখতে পাওয়া যেত তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী তাঁর মেকআপ শিল্পী ফৈয়াজ আনসারিকে। এবারও ক্যারিবিয়ানভূম এবং আমেরিকাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই হোটেলের সুইমিং পুলে নামার পরে ঘটে যায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রাথমিকভাবে অনুমান সুইমিং পুলে নেমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন ইরফান পাঠান। এবার তাঁর বন্ধু তথা মেকআপ শিল্পীর অকালমৃত্যুতে তিনি একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন ইরফান পাঠান। তিনি লিখলেন তাঁকে অর্থাৎ ফৈয়াজ আনসারিকে হারানোর যন্ত্রনা অসহনীয়!
আরও পড়ুন… বার্বাডোজের পিচে কি ঘূর্ণি নাচবেন প্রোটিয়ারা, নাকি রাবাডাদের পেসে বিপাকে পড়বেন কোহলিরা?
ইনস্টাগ্রামে নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি নিজের এবং ফৈয়াজের ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘শেষ ছয় বছরে ফৈয়াজ আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে উঠেছিল। আমার বাড়িতেও যখন আসত তখন আমার বাচ্চারা দৌড়ে গিয়ে ওকে স্বাগত জানাত। আমাকে ও একজন বড় ভাইয়ের মতন ভালোবাসত। আর আমি ওকে একজন ছোট ভাইয়ের মতন ভালোবাসতাম। ওকে হারানোর যন্ত্রনা অসহনীয়। আগে কখনও আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। ওঁর সদা হাসি মুখ। ওঁর মুখে সবসময় 'জি ভাই' ডাকটা এখনও আমার কানে আসে। সবসময়ে এটা আমার সঙ্গে থাকবে। আমি তোমাকে খুব মিস করি আমার ভাই, আমার ছায়াসঙ্গী ফৈয়াজ।’
আরও পড়ুন… ডোপ টেস্টে ব্যর্থ! বিপদের মুখে জ্যাভলিন থ্রোয়ার ডিপি মনুর Paris Olympics 2024-এর স্বপ্ন
আরও পড়ুন… T20 WC 2024: এটা তো ভারতের টুর্নামেন্ট- ইংল্যান্ড হারতেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন মাইকেল ভন
বিজনুরের নাগিনা অঞ্চলের বাসিন্দা এই ফৈয়াজ আনসারি। মাত্র দুই মাস আগেই তিনি বিয়ে করেছিলেন। তারপরেই তাঁর সঙ্গে ঘটে গেল এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের ছেলে মুম্বইতে তাঁর নিজস্ব সাঁলো খোলেন। সেখানেই প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ইরফান পাঠানের সঙ্গে। তারপরেই তাদের মধ্যে শুরু বন্ধুত্বের সম্পর্ক। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে পারিবারিক বন্ধনে পরিণত হয়। ফৈয়াজ শেষ কয়েক বছরে প্রায় প্রতিটি সফরেই ইরফানের সঙ্গে ট্রাভেল করেন বিদেশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ফৈয়াজের মরদেহ এসে পৌঁছাবে দিল্লি বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই তা তুলে দেওয়া হবে তাঁর পরিবারের হাতে।