গত ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অবাক হয় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। যদিও এই ঘটনা একেবারে নতুন নয় এই দুই দলের কাছে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একই অবস্থা হয়েছে। ডাচদের বিরুদ্ধে আটকে যেতে হয়ছে প্রোটিয়াদের। এবার ফের একই ঘটনা ঘটেছে। অনেকে অবাক হলেও, প্রোটিয়াদের প্রশ্ন করতে ভোলেননি কেউ। এক গুচ্ছ সমালোচনাকে সঙ্গে নিয়েই আজ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে অসুস্থতার জন্য খেলছেন না বাভুমা। তাঁর পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন মার্করাম।
এদিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। যদিও এই ম্যাচের শুরুতে কুইন্টন ডি কক ফিরে যান মাত্র ৪ রান করে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। রেজা হেনরিক ৭৫ বলে করেন ৮৫ রান। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। তখনও অনেক কিছু বাকি ছিল এই ম্যাচে। রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৬১ বলে ৬০ রান করেন ৮টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও মার্করাম ৪৪ বলে করেন ৪২ রান।
তবে এই ম্যাচে দুর্দান্ত একটি শতরান করে যান এনরিখ ক্লাসেন। আর তাতেই ম্যাচ পুরো ঘুরে যায়। মাত্র ৬৭ বলে করেন ১০৯ রান। যার মধ্যে রয়েছে ১২টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। মার্কো জানসেন ৪২ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিনটি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা।
এই রান তোলার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক রেকর্ড হয়েছে। বিশ্বাকাপের ইতিহাসে ক্লাসেন এবং জানসেন একমাত্র জুটি যারা ১৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়তে ওভার প্রতি তাদের রানরেট ছিল ১১.৯২। এর আগে ২০১৫ সালে ওডিআই বিশ্বকাপে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং শেন ওয়াটসন জুটি ১১.৭০ রানরেটে ১৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ২০১৫ বিশ্বকাপেই। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন ক্লাসেন-জানসেন জুটি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়ন মর্গ্যান এবং জো রুট জুটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১১.২৩ রানরেটে এই পার্টনারশিপ গড়েন ২০১৯ বিশ্বকাপে। তালিকায় চতুর্থ তালিকায় রয়েছেন আয়ারল্যান্ডের কুস্যাক এবং কেভিন ও'ব্রেইন জুটি যারা ৯.৪৬ রানরেট হিসাবে পার্টনারশিপ গড়েন ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
এই ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। ওডিআইয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এতো রান তুলতে পারল। ৭ উইকেট হারিয়ে আজ প্রোটিয়ারা তুলল ৩৯৯ রান। এর ঠিক পরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড। যারা ২০১৫ সালে ওভালে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৯৮ রান তোলে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ। ২০১৯ সালে সেন্ট জর্জেসে ক্যারিবিয়ানরা ৩৮৯ রান তোলে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত। যারা ২০০৮ সালে রাজকোটে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে ৩৮৭ রান তোলে। এবং ২০১৭ সালে কটকে ভারতের বিরুদ্ধেই ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৮১ রান তোলে।