ক্রিকেট হোক কিংবা ফুটবল। ক্রীড়াক্ষেত্রে 'চোকার্স' শব্দটা খুবই পরিচিত একটি নাম। তবে ক্রিকেট দুনিয়ায় 'চোকার্স' শব্দটি ব্যাবহার করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের উপর। বিশ্ব ক্রিকেটে তারা পরিচিত 'চোকার্স' নামে। কারণ তারা জেতা ম্যাচ কখনও হেরে যায়, আবার গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলেও খেতাবের কাছে পৌঁছে গিয়েও হারের মুখ দেখে। ঠিক সেই কারণেই তাদেরকে চোকার্স বলা হয়ে থাকে।
আজ ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে নামার আগে এই তকমা বেশ ভোগাচ্ছে প্রোটিয়া দলকে। তবে এই তকমাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না প্রোটিয়া দল। অজি বধ করেই তারা ফাইনালের টিকিট পেতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। একটু ডাউন মেমরি লেনে যনি ফিরে যাওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২১৪ রানে টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে জেতা ম্যাচ ড্র করে প্রোটিয়ারা। যদিও সেই ম্য়াচের সময় রাসি ভ্যান ডার দাসেনের জন্ম হলেও জেরাল্ড কোয়েটজির জন্ম হয়নি। তবে সেই ম্যাচ নিয়ে একেবারেই ভাবতে চাইছেন না কোয়েটজি।
ইডেনে অজিদের বিরুদ্ধে নামার আগে তিনি চোকার্স তকমাটি ভুলে যেতে চান। কোয়েটজি ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, '১৯৯৯ সালের সেমি ফাইনালে ঠিক কী হয়েছিল আমার তা খুব একটা মনে নেই। বর্তমান ম্যাচে আমরা ফোকাস করছি। আমরা জানি কোথায় কখন রুখে দাঁড়াতে হবে। গোটা টুর্নামেন্টে আমরা যাই খেলি না কেন, সেমিতে সেই সব কাজে লাগে না। সামান্য ভুলে বড় খেসারত দিতে হতে পারে। তাই আমার ধারণা এই ম্যাচে নিজেদের আরও ভালো খেলতে হবে।'
প্রোটিয়া ক্রিকেটার আরও জানান, 'এই ম্যাচে কী হবে তা আমরা কেউ জানি না। ম্যাচ শেষে সব বোঝা যাবে। তবে আমরা যদি এই ম্যাচ হেরে যাই তাহলে আর কিছু করার থাকবে না। যদি সাধারণ মানুষ আমাদের চোকার্স বলে, তাহলে এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কেউই সামাল দিতে পারব না। তবে আমি শপথ করছি এই ম্য়াচ জেতার জন্যই আমরা মাঠে নামব এবং ফাইনালে জায়গা করে নেব। আগামী ১৯ নভেম্বর ফাইনাল ম্যাচে জায়গা করে নেওয়াই আমাদের প্রধান টার্গেট। আমরা সবসময় বলে থাকি, যদি বিশ্বকাপ খেলতে এসে ফাইনালে যেতে হয়, তাহলে প্রথমে সেমিফাইনালে জিততে হবে।'