বৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ থমকে যেতে দেখা যায় হামেশাই। বৃষ্টি না হলেও প্রকৃতির প্রতিকূলতায় ম্যাচে বাধা সৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে বহুরকমভাবে। তবে রবিবার ধরমশালায় যে কারণে ম্যাচ বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ, তেমন ছবি খুব বেশি দেখা যায় না। দিনের বেলা মন্দ আলোয় খেলা বন্ধ থাকা স্বাভাবিক। তবে কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটেও বল দেখতে না পাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, ধরমশালার হিমাচলপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইডে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়নি। আসলে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সময় খেলা থমকায় অন্য কারণে। হঠাৎই ঘন কুয়াশা নেমে আসে মাঠে। কুয়াশা এতটাই গাঢ় ছিল যে, তা ফ্লাডলাইটের আলোতেও দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয় অনেকটাই। বল দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল বলেই সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে ম্যাচ।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট খেলা শুধু ব্যাটসম্যানদের জন্যই নয়, বরং ফিল্ডারদের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারত। কেননা বল হাওয়ায় ভেসে গেলে তা দেখতে পাওয়া সম্ভব ছিল না। সেই কারণেই বেশ কিছুক্ষণের জন্য দু'দলের ক্রিকেটাররা মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে ফিরে যান। পরে দৃশ্যমানতা ফিরে এলে ম্যাচ শুরু হয় পুনরায়।
এমনিতে ধরমশালার প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত স্টেডিয়াম দেখতে ছবির মতো সুন্দর। তবে রাতের বেলা কুশায়ায় ঢাকা ধরমশালা স্টেডিয়ামকে দেখে রীতিমতো মহোময়ী মনে হয়। সঙ্গত কারণেই ম্যাচ চলাকালীন হিমাচলপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের এমন নৈসর্গিক দৃশ্য মোহিত করে ক্রিকেটপ্রেমীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তর ছড়িয়ে পড়ে এমন মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: 'সবে মাত্র অর্ধেক কাজ সারা', টানা ৫টি জয়েও বাস্তবের মাটিতে পা রোহিতের
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে মিমও ছড়িয়ে পড়ে বিস্তর। বিশেষ করে একটি বাণিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞপনের সংলাপ ‘আমাদের এখানে ফগ চলছে’র কথা মনে পড়ে যায় নেটিজেনদের।
উল্লেখ্য, রবিবার ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে ১২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে পরাজিত করে ভারত। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৩ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। অনবদ্য শতরান করেন ডারিল মিচেল। তিনি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২৭ বলে ১৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে ৭৫ রান করেন রাচিন রবীন্দ্র। ভারতের হয়ে মহম্মদ শামি ১০ ওভার বল করে ৫৪ রানের বিনিময়ে একাই ৫টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪৮ ওভারে ৬ উইকেটর বিনিময়ে ২৭৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। বিরাট কোহলি ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ বলে ৯৫ রান করে মাঠ ছাড়েন। রোহিত শর্মা করেন ৪৬ রান।