ওয়ান ডে ক্রিকেটে শেষ ওভারে ১৯ রান তুলে ম্যাচ জেতা নিতান্ত সহজ কাজ নয়। তবে চলতি বিশ্বকাপে যেভাবে ঝুড়ি ঝুড়ি রান উঠছে, তাতে একবারের জন্যও নিউজিল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছনো অসম্ভব মনে হয়নি। বিশেষ করে ধরমশালার অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যেখানে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুই ইনিংস মিলিয়ে রেকর্ড রান ওঠে, সেখানে এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিততেই পারত কিউয়িরা।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৯ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭০ রান তুলে ফেলে। ৩৫ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন জেমস নিশাম। ৭ বলে ৯ রান করে নট-আউট ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। সুতরাং, জয়ের জন্য ২ উইকেট হাতে নিয়ে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল নিউজিল্যান্ডের।
শেষ ওভারে বল করতে আসেন মিচেল স্টার্ক, যিনি তার আগে ৮ ওভারে ৭৬ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। শেষ ওভারে ঠিক কী ঘটে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের শেষ ওভারের ঘটনা পরম্পরা:-
৪৯.১ ওভারে স্টার্কের বলে ১ রান নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং সেট ব্যাটসম্যান নিশামকে স্ট্রাইক দেন। জয়ের জন্য ৫ বলে ১৮ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের।
৪৯.২ ওভারে বল করতে এসে ওয়াইড করেন স্টার্ক এবং সেই বল উইকেটকিপারের নাগাল এড়িয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যায়। অর্থাৎ অতিরিক্ত হিসেবে ৫ রান পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৫ বলে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল তাদের।
পুনরায় ৪৯.২ ওভারে বল করতে এসে ২ রান খরচ করেন স্টার্ক। নিশাম ২ রান সংগ্রহ করার পরে ৪ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১১ রান।
৪৯.৩ ওভারে পুনরায় ২ রান নেন নিশাম। সুতরাং, জয়ের জন্য কিউয়িদের দরকার ছিল ৩ বলে ৯ রান।
৪৯.৪ ওভারে ফের ২ রান সংগ্রহ করেন নিশাম। অর্থাৎ, জয়ের জন্য শেষ ২ বলে ৭ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের।
৪৯.৫ ওভারে ২ রান নেওয়ার চেষ্টায় রান-আউট হন নিশাম। সেই বলে ১ রান ওঠার পরে শেষ বলে জয়ের জন্য কিউয়িদের দরকার ছিল ৬ রান।
৪৯.৬ ওভারে স্টার্কের বলে কোনও রান সংগ্রহ করতে পারেননি লকি ফার্গুসন। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়ার ৩৮৮ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড আটকে যায় ৯ উইকেটে ৩৮৩ রানে। ৫ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক উইকেট না পেলেও শেষ ওভারে মাথা ঠাণ্ডা রেখে জয় এনে দেন দলকে।