রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ বলে হার নিউজিল্যান্ডের। মাত্র ৬ রানের জন্য বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড গড়া হল না কিউয়িদের। বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়ার হাতছানি ছিব নিউজিল্যান্ডের সামনে। তবে তীরে এসে তরী ডোবে তাদের। কিউয়িরা বিশ্বকাপের ইতিহাসে রান তাড়া করে সর্বোচ্চ ইনিংস গড়েও ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে।
ধরমশালায় বিশ্বকাপ ২০২৩-এর হাই- ভোল্টেজ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়া ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে অল-আউট হয়ে যায়। ধ্বংসাত্মক শতরান করেন ট্র্যাভিস হেড। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ডেভিড ওয়ার্নার।
হেড ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। শেষমেশ ১০টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ বলে ১০৯ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়ার্নার ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ৮১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এছাড়া মিচেল মার্শ ৩৬, স্টিভ স্মিথ ১৮, মার্নাস ল্যাবুশান ১৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪১, জোশ ইংলিস ৩৮ ও প্যাট কামিন্স ৩৭ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৭৭ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৩৭ রানে ৩টি উইকেট নেন গ্লেন ফিলিপস। ৮০ রানে ২টি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন ম্যাট হেনরি ও জেমস নিশাম।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৯ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৭০ রান তোলে। সুতরাং, শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৯ রান দরকার ছিল কিউয়িদের। মিচেল স্টার্কের শেষ ওভারে ১৩ রান ওঠে। নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৩ রানে আটকে যায়। শেষ ওভারের থ্রিলারে ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।
কিউয়িদের হয়ে ঝোড়ো শতরান করেন রাচিন রবীন্দ্র। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। রাচিন শতরানের গণ্ডি টপকে যান ৭৭ বলে। সাহায্য নেন ৭টি চার ও ৫টি ছক্কার। সুতরাং হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে কিউয়ি ওপেনার খরচ করেন মোটে ২৮টি বল। শেষমেশ ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৯ বলে ১১৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন রবীন্দ্র।
এছাড়া ডারিল মিচেল ৫৪, জেমস নিশাম ৫৮, ডেভন কনওয়ে ২৮, উইল ইয়ং ৩২, টম লাথাম ২১, গ্লেন ফিলিপস ১২, মিচেল স্যান্টনার ১৭, ম্যাট হেনরি ৯ ও ট্রেন্ট বোল্ট অপরাজিত ১০ রান করেন। অ্যাডাম জাম্পা ৩টি এবং জোশ হেজেলউড ও প্যাট কামিন্স ২টি করে উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন হেড।