From Shami Ahmed to Mohammed Shami- শামি আহমেদ থেকে মহম্মদ শামি। জানেন কি টিম ইন্ডিয়ার এই স্পিডস্টার ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম তিন বছর অন্য নামে ক্রিকেট খেলেছিলেন। মহম্মদ শামির যাত্রাটি একটি চিত্তাকর্ষক কাহিনীর থেকে কম কিছু নয়। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভারতের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসাবে উঠে এসেছে মহম্মদ শামির নাম। ইতিমধ্যেই রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম খোদাই করে ফেলেছেন তিনি। মহম্মদ শামি ধারাবাহিকভাবে যে বীরত্ব প্রদর্শন করেছেন তা ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দেখা গিয়েছে। কিউয়িদের বিরুদ্ধে যখন শামি সাত উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর খেলা উপহার দিয়েছিলেন তখন সকলেই তাঁর প্রশংসা করেছিলেন।
তবে এর মাঝেই মহম্মদ শামির পেশাদার এবং ব্যক্তিগত উভয় জীবনের উত্থান-পতনের গল্প নিয়ে সকলে আলোচনা করছিলেন। আসলে ভারতীয় পেস বোলারের জীবনটা একটি রোলারকোস্টার যাত্রার মতো। ভারতীয় ক্রিকেট দলে শামির বর্তমান অবদান রেকর্ড-ব্রেকিং ও উজ্জ্বলতার থেকে কম কিছু নয়। অপ্রতিরোধ্য শক্তি রয়েছে শামির। ফাইভার্স থেকে সেভেন উইকেট হউল পর্যন্ত নিজের আখ্যান নতুন করে লিখছেন শামি।
এই সময়ে সোশ্যা মিডিয়াতে তাঁকে নিয়ে নানা গল্প ভেসে আসছে। একজন ভক্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘অনেকেই জানেন না মহম্মদ শামি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন শামি আহমেদ হিসেবে। বিশ্বকে নিজের আসল নাম বলতে তাঁর দীর্ঘ তিন বছর লেগেছিল। তিনি যখন তার আসল নাম বিশ্বের কাছে বলেছিলেন তখন তার জন্য কী স্বস্তি হত। ভারত তোমার জন্য গর্বিত মহম্মদ শামি।’ আর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কেউ এই নামটি এখন ভুলতে পারবে না। রেকর্ড বইয়ে উঠেছে শামির নাম!!’
মহম্মদ শামি আহমেদ ভারতীয় ফাস্ট বোলারের সম্পূর্ণ নাম। তবে, ভারতের হয়ে অভিষেকের সময়, ক্রিকেট বিশ্ব তাকে একরকম শামি আহমেদ নামে চিনত। তবুও, শামি, তার চরিত্রগত শৈলীতে, একটি নেতৃস্থানীয় মিডিয়া নেটওয়ার্কের কাছে এই বিভ্রান্তিটি স্পষ্ট করেছিলেন। শামি বলেছিলেন ‘আমি জানি না আমার নামটি কীভাবে এমনটা হল। আসলে আমি মহম্মদ শামি, শামি আহমেদ নই।’ শামি জোর দিয়ে এই কথাটি বলেছিলেন। তা সত্ত্বেও, নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত, তিনি একটি ভুল নামে তিন বছর ধরে ক্রিকেট মাঠে নিজের খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন। শামি জানিয়েছিলেন, ‘আমার নাম কখনও আহমেদ রাখা হয়নি। আমার নাম সর্বদা মহম্মদ শামি ছিল এবং এটাই হওয়া উচিত।’ সেদিন নিজের সঠিক নামের জন্য লড়াই করেছিলেন শামি আর আজ সমর্থকরা তাঁর নাম নিজেদের বুকে খোদাই করে রাখছেন।