স্যাম কারান স্বীকার করেছেন যে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা ধরমশালায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে কোনও আঘাত ছাড়াই মাঠ ছাড়তে পেরেছে যেটা তাদের সব থেকে বড় স্বস্তি। এই আউটফিল্ডে ৪৮.২ ওভার ফিল্ডিং করার পরে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জোস বাটলার এটাকে খারাপ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। এই খেলার আগে আইসিসির স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন এবং ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ আউটফিল্ডটি অ্যাভারেজ মার্ক দেওয়া হয়েছিল। তারা পরিষ্কার করেছিলেন যে ধরমশালার আউটফিল্ড অ্যাভারেজ। এর আগে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে জোনাথন ট্রট বলেছিলেন যে মুজিব উর রহমান গুরুতর আঘাত এড়াতে পেরেছে তিনি খুব সৌভাগ্যবান ছিলেন। এরপরেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ের পরে এই মাঠকে অ্যাভারেজ রেট দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ১৩৭ রানের জয়ের সময় ডিপে ফিল্ডিং করার সময় উভয় পক্ষের খেলোয়াড়রা সতর্ক ছিলেন, কিছু ডিপ ফিল্ডার ডাইভ করার পরিবর্তে বলকে বাউন্ডারিতে গিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং আঘাতের ঝুঁকি নেননি। ইংল্যান্ডের কোচরা খেলোয়াড়দের ডিপে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও ফিল্ডারদের প্রতিটা বল বাউন্ডারির দিকে তাড়া করার তাদের স্বাভাবিক ইচ্ছা থেকেই করা হয়েছিল।
এই টুর্নামেন্টে ধরমশালায় আরও তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে - নেদারল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (১৭ অক্টোবর), ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড (২২ অক্টোবর) এবং অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড (২৮ অক্টোবর) তবে এর আগে স্যাম কারান বলেছেন যে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা এই মাঠকে বিদায় জানিয়েছেন। তারা আর এই মাঠে আসতে চাইবেন না। স্যাম কারান বলেছেন, ‘এটি বেশ খারাপ ছিল। কোনও ইনজুরি ছাড়াই এই খেলাটি শেষ করতে পেরেছি তাতেই আমরা খুশি - আমি মনে করি উভয় দলই একই ভাববে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমাদের এখানে আর ফিরে আসতে হবে না।’
রবিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড দল দিল্লিতে যাবে। কারান এই বছরের শুরুতে পঞ্জাব কিংসের হয়ে ধরমশালায় খেলেছিলেন, কিন্তু বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ডের অবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে। কারান আরও বলেছেন, ‘আশা করি, আউটফিল্ড ভালো হয়ে যাবে। এটা খুব একটা সুন্দর নয়, এটার কি অবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমি বলব উইকেটটা সত্যিই ভালো। ভাগ্যক্রমে, আমরা সকলেই ফিট আছি এবং দিল্লিতে যাব।’
স্যাম কারান নিশ্চিত করেছেন যে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ডাইভিং থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। ‘(বার্তাটি) ছিল শুধু ‘সতর্ক থাকুন’ এবং আপনি দেখেছেন যখন বাংলাদেশ মাঠে নামে, তারাও বেশ সতর্ক ছিল। কেউ কাউকে আহত হতে দেখতে চায় না এবং ভাগ্যক্রমে, সেখানে সেটা হয়নি। অনেক বলের পরে আমাদের স্প্রিন্ট করতে হয়েছিল। আমরা খুব খুশি যে পরের ম্যাচের আগে কেউ আহত হয়নি।’
উভয় পক্ষের ফাস্ট বোলাররা তাদের রান আপে কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন, রিস টপলি নরম টার্ফের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজের রান আপ ছোট করেছিলেন। টপলি স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘এই আউটফিল্ডে পা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ভারী হয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাকে আমার রান আপ ছোট করতে হয়েছিল কারণ আমি প্রতিটি পদক্ষেপে কোন দূরত্ব পাচ্ছিলাম না। তবে এই মাঠে এটি একটি অনন্য চ্যালেঞ্জ ছিল এবং আমরা সঠিকভাবে সাড়া দিয়েছিলাম। জোস আমাদের এটির সঙ্গে এগিয়ে যেতে বলেছিলেন, তাই আমরা তা করেছি।’ বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ বলেছেন যে তিনি পায়ের নীচে কন্ডিশন ‘কঠিন" পেয়েছেন। আউটফিল্ড নরম ছিল। এখানে রান করা কঠিন ছিল। সবাই মনে করেছিল যে আমরা একটু ভারসাম্যহীন, বা রান আপে পিছলে যাচ্ছি। কিন্তু কন্ডিশন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না, তাই আমরা এটিকে অজুহাত বানাতে পারি না আমাদের আরও ভালভাবে সামঞ্জস্য করা উচিত ছিল।’