আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার দিয়ে বিশ্বকাপ ২০২৩ শেষ করল বাংলাদেশ। এমনটা নয় যে, মাঝে বিস্তর সাফল্য পেয়েছেন শাকিব আল হাসানরা। বরং মাঝের সময়টাতেও শুধু হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁদের। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতা সঙ্গে নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।
শনিবার পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শাকিব শেষ ম্যাচে মাঠে নামেননি। তাঁর বদলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন তৌহিদ হৃদয়। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭৯ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ব্যক্তিগত অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন ক্যাপ্টেন শান্ত। তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে আউট হন।
এছাড়া তানজিদ হাসান ৩৬, লিটন দাস ৩৬, মাহমুদুল্লাহ ৩২, মুশফিকুর রহিম ২১, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৯, নাসুম আহমেদ ৭ ও মেহেদি হাসান অপরাজিত ২ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা। ১টি উইকেট দখল করেন মার্কাস স্টইনিস।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩২ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ে লিগের অভিযান শেষ করে অজিরা।
মিচেল মার্শ কার্যত একার হাতেই অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে। মার্শ ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে যান ১১৭ বলে। সাহায্য নেন ১৬টি চার ও ৭টি ছক্কার। শেষমেশ ১৭টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ১৩২ বলে ১৭৭ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ডেভিড ওয়ার্নার ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬১ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্টিভ স্মিথও। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ বলে ৬৩ রান করে নট-আউট থাকেন। এছাড়া ১০ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন ট্র্যাভিস হেড।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের সেরা হন মার্শ। বাংলাদেশ ৯ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়-সহ ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। ৯ ম্যাচে ৭টি জয়-সহ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে প্রবেশ করে অস্ট্রেলিয়া।