শুভব্রত মুখার্জি:- বিসিসিআইয়ের 'মাল্টি মিলিয়ন' ডলার প্রোজেক্ট আইপিএলের টাইটেল অর্থাৎ মুখ্য স্পনসর হিসেবে আগে থেকেই যুক্ত ছিল টাটা গোষ্ঠী। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে তাদের চুক্তি শেষ হওয়ার পরে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর নিয়ে। কোন গোষ্ঠী হবে? আদৌও টাটা আর থাকবে কিনা? উঠেছিল নানা প্রশ্ন।
একটা বিষয় নিশ্চিত ছিল যে, টাইটেল স্পনসর হিসেবে আর কোন চিনা গোষ্ঠীকে ভারতীয় বোর্ড মান্যতা দেবে না। এমন আবহে অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে যে টাটা গোষ্ঠীই থাকছে, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।
আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হওয়ার জন্য নিলামের দরপত্র ভারতীয় বোর্ডের তরফে কয়েকদিন আগেই ডাকা হয়েছিল। যাতে অংশগ্রহণ করেছিল টাটা, আদিত্য বিড়লার মতন বড় বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা।২০২৪-২৮ এই বৃত্তের টাইটেল স্পনসর হওয়ার লড়াই একেবারে জমে উঠেছিল। মূলত লড়াইটা ছিল টাটা গোষ্ঠী এবং আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর মধ্যে। দুই গোষ্ঠীর তরফে পাঁচ বছরের জন্য ২৫০০ কোটি টাকার বিড করা হয়। অর্থাৎ প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার বিড দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে।
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল আদিত্য বিড়লা গ্রুপের তরফে এই ৫০০ কোটি টাকার বিড জমা করা হয়েছিল। উল্লেখ্য টাটা সন্সের তরফে ২০২২ এবং ২০২৩ সালের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে বিসিসিআইকে ৬৭০ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল। এই বছর থেকে যেহেতু বিসিসিআই আইপিএলে ম্যাচ সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে, ফলে এই বিডের অর্থের পরিমাণও এতটা বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৪ মরশুম থেকে আইপিএলে মোট ৭৪টি ম্যাচ খেলা হতে পারে বলে বিসিসিআইয়ের সূত্র মারফত খবর। ২০২৫-২০২৬ সালে তা বাড়িয়ে বিসিসিআই করতে পারে ৮৪। ২০২৭ এবং ২০২৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯৪টি ম্যাচে। বিসিসিআই টাইটেল স্পনসর হওয়ার যে নিয়ম করেছে, তাতে টাটা সন্সের কাছে প্রথম 'রাইট টু রিফিসাল' অর্থাৎ টাইটেল স্পনসর না হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতে হবে তবেই অন্য গ্রুপ টাইটেল স্পনসর হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে তার আগে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের ৫০০ কোটি টাকার প্রতি বছরের বিডকে ম্যাচ করতে হবে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে টাটা গ্রুপকে এই সমপরিমাণ অর্থের বিড করতে হবে। ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর এই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল বিসিসিআইয়ের তরফে।