ওডিআই ক্রিকেটে দুরন্ত ব্যাটিংয়ের পুরস্কার পেলেন স্মৃতি মন্ধনা। গত বছর দেশের জার্সি গায়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে এবার আইসিসির বর্ষসেরা মহিলা ওডিআই ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার আনা সাদারল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে সেরার সেরা হলেন ভারতের স্মৃতি মন্ধনা। গত বছরটা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য ভালো যায়নি খুব একটা। তবে তাঁর প্রভাব পড়েনি স্মৃতির খেলায়। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। ভারতের হয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলিতে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেন স্মৃতি।
গত বছর এক ক্যালেন্ডার বছরে সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। গোটা বছরে ওডিআই ক্রিকেটে মোট ৪টি শতক হাঁকিয়েছিলেন স্মৃতি। জুন মাসে তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে ওডিআই সিরিজে জয় লাভ করেছিল ভারত। সেখানে পর পর দুটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মৃতি। এরপরে অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪-এর শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত। সেখানে সিরিজে হারলেও ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন স্মৃতি মন্ধনা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নিজের চতুর্থ শতরানটা করেন স্মৃতি। ২০২৪ সালে মন্ধনা মোট ১৩টি ওডিআই ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৭৪৩ রান করেছিলেন। শতরান করেছিলেন চারটি। তাঁর গড় ছিল ৫৭.৮৬ এবং স্ট্রাইক রেট ৯৬.৯৯।
অন্যদিকে লড়াইয়ে থাকা বাকি ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যানও যথেষ্ট ভালো ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন লরা উলভার্ট। দেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে রান করে গেছেন তিনি। উলভার্ট শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জোড়া শতরানের পর ভারতের বিপক্ষেও শতরান করেন। এরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ডিসেম্বরে ভালো পারফর্ম করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১২টি ইনিংসে ৬৯৭ রান করেন তিনি, গড় ৮৭.১২ এবং স্ট্রাইক রেট ৮৭.৩৪।
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার আনা সাদারল্যান্ড ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর শতরান করেন। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারও নির্বাচিত হন। ৯ ইনিংসে মোট ৩৬৯ রান করেন তিনি, গড় ৫২.৭১ এবং স্ট্রাইক রেট ১০০.২৭। বল হাতে ১৩টি উইকেটও নিয়েছিলেন এই অজি অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার আতাপাত্তুও ওডিআই ক্রিকেটে বেশ ভালো ছন্দে ছিলেন। ৯ ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৫৮ রান করেন তিনি, গড় ৬৫.৪২ এবং স্ট্রাইক রেট ১০১.১০। বল হাতে ৯ উইকেটও নেন চামিরা।