যতই বাংলাদেশ বনাম সাউথ আফ্রিকা টেস্টের দিন এগিয়ে আসছে, ততই শাকিবের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে সে দেশের জনগণ। মিরপুরে তাঁকে দলে না খেলানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় একদল মানুষ। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, যদি শাকিবকে দলে খেলানো হয় তাহলে বিক্ষোভ আরও বাড়বে। তার জন্য যদি আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি হয় তার দায়ভার বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে নিতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের সময় শাকিব জানিয়েছিলেন, দেশের মাটিতে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলতে চান। প্রথমে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে বিরোধিতা করা হলেও পরবর্তীতে বরফ গলে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এখনও শাকিবের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সে দেশের সরকারের তরফেও তাঁকে আপাতত দেশে আসতে না করা হয়েছে। তাহলে কী কানপুরের টেস্টই শাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচে? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শাকিবের দেশে ফেরার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিভিন্ন সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরেও মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে ‘মিরপুর ছাত্রজনতা’ নামক সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সেই সময় মাঠে অনুশীলন করছিল সাউথ আফ্রিকা দল। পরবর্তীতে সংগঠনের তরফে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির কাছে একটি স্মারকপত্র দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, যদি ম্যাচের দিন শাকিবকে খেলানো হয় তাহলে তারা আরও তীব্র আন্দোলনে নামবে। এদিন প্রচুর মানুষ জমা হয় মিরপুরে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে তাদের হাতে শাকিবের বিরোধিতা করে বিভিন্ন পোস্টার-ব্যানার দেখা যায়। যার মধ্যে লেখা ছিল- ‘নো এন্ট্রি শাকিব’, ‘শাকিব তুমি মিরপুরের ক্রিকেট পিচ চিনতে পারো। কিন্তু আমরা মিরপুরের রাজপথ চিনে বড় হয়েছি’, ‘আমার ভাই কবরে, শাকিব কেন বাইরে’, ‘হাসিনার দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান’।
দেশের অবস্থা যে ভালো নয় তা হয়তো নিজেও বুঝতে পারছেন শাকিব আল হাসান। তাই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আপাতত দেশে ফিরছেন না। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় শাকিব বলেন, ‘আমি জানিনা এরপর কোথায় যাব, তবে এটুকু নিশ্চিত আমি দেশে ফিরছি না’। তবে এর আগে শোনা যাচ্ছিল বাংলাদেশে ফিরছেন তিনি। সেইমতো আমেরিকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। সেখান থেকে ফের বিমানে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার অনিশ্চয়তার কারণে আপাতত আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফেও তাঁকে এখন দেশে ফিরতে না করা হয়েছে।