আইপিএলের নতুন মরশুমের জন্য রাহুল তেওয়াটিয়াকে নিজেদের স্কোয়াডে ধরে রেখেছে গুজরাট টাইটানস। তারকা অল-রাউন্ডার ফ্র্যাঞ্চাইজির আস্থার মর্যাদা দিতে পারেন কিনা, সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে ইতিমধ্যেই গুজরাট শিবিরকে নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে আশ্বস্ত করলেন তেওয়াটিয়া। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দিল্লির বিরুদ্ধে যে রকম ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন হরিয়ানার তারকা ক্রিকেটার, তাতে টি-২০ ক্রিকেটের মেজাজ ধরা পড়ে স্পষ্ট।
শুধু আক্ষেপ এই যে, নিশ্চিত সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসতে হয় রাহুলকে। ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় তেওয়াটিকে দাঁড়িয়ে যেতে হয় ব্যক্তিগত শতরানের একেবারে দোরগোড়ায়।
শুক্রবার আমদাবাদের গুজরাট কলেজ গ্রাউন্ডে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে দিল্লি ও হরিয়ানা। টস জিতে দিল্লি দলনায়ক যশ ধুল শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান অশোক মেনারিয়ার নেতৃত্বাধীন হরিয়ানাকে।
মাত্র ২৮ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে বসে হরিয়ানা। শেষমেশ তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৩ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। সৌজন্যে নিশান্ত সিন্ধু, রাহুল তেওয়াটিয়া ও সুমিত কুমারের হাফ-সেঞ্চুরি।
আরও পড়ুন:- Sikandar Raza Breaks Kohli's Record: একের পর এক ম্যাচের সেরার পুরস্কার, বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন সিকন্দর রাজা
নিশান্ত ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৪ বলে ৬৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। তেওয়াটিয়া ব্যক্তিগত ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৭০ বলের মারকাটারি ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। সুমিত ৩৫ বলে ৫৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ক্যাপ্টেন মেনারিয়া করেন ৪০ রান। ৭০ বলের ধীর ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৪ বলে ১৯ রান করেন হিমাংশু রানা। ওপেনার অমিত কুমার ও উইকেটকিপার রোহিত শর্মা খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। অপর ওপেনার যুবরাজ সিং ২০ বলে ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।
আরও পড়ুন:- আউট দেওয়ার পরেও ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি, বিশ্বরেকর্ড গড়া ব্যাটারের সঙ্গে ঘটল আজব ঘটনা- ভিডিয়ো
দিল্লির হয়ে ৭ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন হর্ষ ত্যাগী। ৯ ওভারে ৬২ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন নভদীপ সাইনি। ১০ ওভারে ৪০ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন ললিত যাদব। ৮ ওভারে ৬২ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন মায়াঙ্ক যাদব। অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মা ৮ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। ৮ ওভারে ৩৫ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন আয়ুষ বাদোনি।