ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের মধ্যে ৩টি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। পার্থে প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে জয় লাভ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। গাব্বা টেস্ট বৃষ্টির কারণে ড্র হয়ে যায়। বর্তমানে সিরিজের ফলাফল ১-১। এবার ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট। তার আগে বাকি দুটি টেস্ট খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার সুর ধরা পড়ল প্যাট কামিন্সের গলায়। অজি অধিনায়ক জানিয়েছেন, পিচ যদি বাকি দুই টেস্টের মতো পেস বোলারদের সহায়ক হয়ে থাকে তবে হেজেলউডের অনুপস্থিতিতে তিনি এবং তাঁর সতীর্থ মিচেল স্টার্ক বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার, কামিন্স আশা প্রকাশ করেছেন যে তিনি এবং স্টার্ক বাকি টেস্ট ম্যাচগুলি খেলবেন, যার মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বক্সিং ডে ম্যাচ এবং ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা সিডনি টেস্ট। তিনি বলেন, ‘কিছুই নিশ্চিত নয়, দেখুন আজ আমরা দু’জনেই ফিট আছি তাই আমি দলে কোনও পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না। গতকাল গরম ছিল, কিন্তু শারীরিকভাবে আমরা ঠিক রয়েছি। অ্যাডিলেড টেস্টের পর আমরা প্রায় সাত দিন বা তারও বেশি সময় বিশ্রাম পেয়েছিলাম। সেই কারণে আমরা ফ্রেশ ছিলাম। এবং ব্রিসবেনেও আমাদের খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি। বারবার বৃষ্টির কারণে ব্রেক পাচ্ছিলাম।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছতে হলে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়াকে এই সিরিজ জিততেই হবে। বর্তমানে WTC-র পয়েন্ট টেবিলে ২ নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং ৩ নম্বরে রয়েছে ভারত। পয়লা নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জিতে তারা এই স্থান দখল করেছে। যদি মেলবোর্ন এবং সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারাতে না পারে তাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছনোর জন্য আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় গলের টার্নিং উইকেটে অন্তত একটি টেস্ট তাদের জিততে হবে। নতুন বছরের শুরুতে দুই টেস্টের শ্রীলঙ্কা সফরে ফিরতে পারেন হেজেলউড বলেও যথেষ্ট আশা করা হচ্ছে। অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি টেস্ট নাও খেলতে পারেন কামিন্স, কারণ তাঁর স্ত্রী বেকি সেই সময়ে সন্তান প্রসব করতে চলেছেন। গল টেস্টের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ জানুয়ারি এবং ৬ ফেব্রুয়ারি।