কেরিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমেই বিধ্বংসী শতরান। ভেঙে দেন বাবর আজমের দ্রততম সেঞ্চুরির সর্বকালীন রেকর্ড। পাকিস্তান বাবর আজমের উত্তরসূরী পেয়ে গিয়েছে বলে যাঁরা আশায় বুক বাঁধছিলেন, তাঁদের প্রত্যাশার বেলুনে পিন ফুটতে পারে। কেননা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে পাকিস্তানের 'নতুন বাবর' হাসান নওয়াজের সার্বিক পারফর্ম্যান্স পাক সমর্থকদের যতটা না আশাবাদী করবে, তার থেকে বেশি হতাশ করতে পারে।
কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজে মাঠে নেমে একসঙ্গে ২টি সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন হাসান নওয়াজ। যার মধ্যে একটিকে আবার বিশ্বরেকর্ডও বলা যায়। অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন হাসান। পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এত কম বলে শতরান করতে পারেননি আর কেউ। সেই নিরিখে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির নজির গড়েন ২২ বছর বয়সী তরুণ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তার আগে ক্রাইস্টচার্চ ও দুনেদিনে সিরিজের প্রথম ২টি ম্যাচেই খাতা খুলতে ব্যর্থ হন নওয়াজ। মাউন্ট মাউনগনুইয়ে সিরিজের চতুর্থ টি-২০ ম্যাচে মাত্র ১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন হাসান। এবার বুধবার ওয়েলিংটনে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচে ফের শূন্য রানে আউট হন নওয়াজ।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে হাসান নওয়াজের ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ০, অপরাজিত ১০৫, ১ ও ০ রান। অর্থাৎ ৩টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন নওয়াজ। পাকিস্তানের আর কোনও ক্রিকেটার কখনও একটি টি-২০ সিরিজে তিনবার শূন্য রানে আউট হননি। সেদিক থেকে লজ্জাজনক এক রেকর্ড গড়ে বসেন নওয়াজ।
পকিস্তানের হয়ে একটি টি-২০ সিরিজে সব থেকে বেশি শূন্য
১. হাসান নওয়াজ- ৩ বার (৫টি ইনিংসে ব্যাট করে)।
২. শাহজেব হাসান- ২ বার (২টি ইনিংসে ব্যাট করে)।
৩. মহম্মদ হাফিজ- ২ বার (৩টি ইনিংসে ব্যাট করে)।
৪. মহম্মদ রিজওয়ান- ২ বার (৪টি ইনিংসে ব্যাট করে)।