গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচে পঞ্জাবের জয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন শশাঙ্ক সিং। তার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কটুক্তি হজম করতে হচ্ছে তাঁকে। এমনকি মাইলস্টোন কিলার তকমাও দেওয়া হচ্ছে শশাঙ্ককে। পঞ্জাব তারকাকে তুলনা করা হচ্ছে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে। শশাঙ্ককে বলা হচ্ছে হার্দিক পান্ডিয়া অ্যাকাডেমির নতুন সদস্য।
মঙ্গলবার আমদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৫-এর ম্যাচ মাত্র ১৬ বলে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শশাঙ্ক সিং। এমন মারকাটারি ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। শেষ বেলায় শশাঙ্ক ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন বলেই পঞ্জাব ম্যাচ জিততে সক্ষম হয়।
কেননা পঞ্জাবের ৫ উইকেটে ২৪৩ রানের জবাবে গুজরাট ৫ উইকেটে ২৩২ রান তুলে ফেলে। ১১ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে পঞ্জাব। শশাঙ্ক যদি শেষ বেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে ব্যর্থ হতেন, তাহলে পঞ্জাব ম্যাচ হারতেও পারত।
কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিলেন বানানো হচ্ছে শশাঙ্ককে?
এমন নাকয়োচিত ইনিংস খেলা সত্ত্বেও শশাঙ্ক কেন নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়লেন, সেই প্রশ্ন জাগতে পারে মনে। আসলে শশাঙ্কের জন্য নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া হয় পঞ্জাব দলনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। পঞ্জাব ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষে শ্রেয়স অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ৯৭ রানে। শেষ ওভারে মহম্মদ সিরাজ বল করতে আসেন। সিরাজের ওভারে শ্রেয়সকে একটিও বল খেলার সুযোগ দেননি শশাঙ্ক। ফলে শ্রেয়সের সেঞ্চুরি করার সুযোগ হাতছাড়া হয়।
যদিও ম্যাচের শেষে শশাঙ্ক স্পষ্ট জানান যে, ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের নির্দেশেই সব বলে শট নেন তিনি। নাহলে এক রান নিয়ে ক্যাপ্টেনকে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। তবে নেটিজেনদের মন ভিজছে না তাতেও। বরং শ্রেয়সকে শতরান করতে না দেওয়ার জন্য ভিলেন বানানো হচ্ছে শশাঙ্ককে।
শশাঙ্ককে কেন হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে?
হার্দিক পান্ডিয়া ২০২৩ সালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-২০ ম্যাচে তিলক বর্মাকে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার সুযোগ দেননি। গায়ানার সেই ম্যাচে তিলক ব্যক্তিগত ৪৯ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ২ ওভারের বেশি বাকি ছিল তখনও। হার্দিক চাইলেই তিলককে আরও ১ রান করে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে দিতে পারতেন। তবে পান্ডিয়া সেই ম্যাচে ক্যাপ্টেন হওয়া সত্ত্বেও নিজে ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন। তিলককে অপরাজিত থাকতে হয় ৪৯ রানে।