সাত উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি। ওয়ার্ল্ড কাপ সেমিফাইনালে একেবারে মারকাটারি পারফরম্য়ান্স। তবে কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস বিভি এবার সেই ২০২১ সালের কথা মনে করিয়ে দিলেন। ওই বছর পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। তারপর থেকেই শামিকে নানাভাবে ট্রোল করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় একমাত্র রাহুল গান্ধী শামির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় হিন্দু মুসলিম বৈষম্যকে তুলে আনা হয়েছিল। তবে তখন রাহুল গান্ধী যে টুইট করেছিলেন সেটা ফের হাজির করেছেন কংগ্রেস নেতা। সেই সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, মহম্মদ শামি আমরা আপনার পাশে রয়েছি। এই মানুষগুলো ঘৃণায় ভর্তি। আসলে কেউ তাদের ভালোবাসা দেয় না। ওদের ক্ষমা করে দিন।
সেই সময় সফলতার শিখরে পৌঁছতে পারেননি শামি। তখন কার্যত শামিকে ঘিরে নানা কটাক্ষ। তার ধর্মকে টেনে আনা হয়েছিল। টি ২০ বিশ্বকাপের শুরুতে ২০২১ সালে ভারত পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছিল। সেই সময় মহম্মদ শামিকে নিয়ে তীব্র ট্রোল করা হত সোশ্য়াল মিডিয়ায়। নানা কটূ বাক্য বলা হত। তবে এখন সেই শামিকেই মাথায় তুলে নাচানাচি চলছে। তবে সেই সময় রাহুল গান্ধী ছাড়াও মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লাহ এই ট্রোলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে দুবছরের মধ্য়ে পরিস্থিতি পুরো ঘুরে গেল। এবারের বিশ্বকাপে একের পর এক উইকেট নিলেন শামি। কার্যত ইতিহাস তৈরি করলেন তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও লিখেছেন, ওয়েল প্লেড শামি।
আর রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ মহম্মদ শামির দারুন বোলিং। তাঁর এই ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার যে বিষয়টি তাকে বিশ্বকালের অন্য়তম সেরা খেলোয়াড় হিসাবে বিবেচিত করেছে।
এবার একেবারে মারকাটারি পারফর্ম্যান্স শামির। মহম্মদ শামি ৫৭ রান খরচ করে সাত উইকেট শিকার করেছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট শিকার করা প্রথম ভারতীয় হিসাবে তকমা পেয়েছেন তিনি। মিচেল স্টার্কের (অস্ট্রেলিয়া) ১৯ ইনিংসের রেকর্ড টপকে শামি মাত্র ১৭ ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ১৭ ম্যাচে, মহম্মদ শামি ১২.৯০ গড়ে ৫৪টি উইকেট শিকার করেন। এই সময়ে পাঁচের বেশি ইকোনমি রেট এবং ১৫.৩৩ স্ট্রাইক রেট রয়েছে। ওডিআইতে সাত উইকেট নেওয়ার জন্য তিনি প্রথম ভারতীয়। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে শামি এখন চারটি পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন। তবে ২০২১ সালে কিন্তু এই শামিকে ঘিরে নানা ট্রোল করা হয়েছিল।