ফের হারল লখনউ সুপারজায়ান্টস। রবিবার (২৬ এপ্রিল) ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৫৪ রানে হারেন ঋষভ পন্তরা। প্রথম ইনিংসে বোলাররা পিটুনি খাওয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা মুখ থুবড়ে পড়েন। যার নিটফল, পরপর দুই ম্যাচ হেরে বড় ধাক্কা খেল লখনউয়ের দল। আর এই হারের পর একেবারে মুষড়ে পড়েছেন এলএসজি অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। তিনি রীতিমতো হতাশ। এই ম্যাচে হারের পর পন্ত কাউকে দোষারোপ করতে রাজি হননি।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান করেছিল। মুম্বইয়ের সূর্যকুমার যাদব ২৮ বলে ৫৪ রান এবং রায়ান রিকেলটন ৩২ বলে ৫৮ রান করেন। এই স্কোরের জবাবে ব্যাট করতে নেমে লখনউ ১৬১ রানেই গুটিয়ে যায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভার খেললেও তারা অলআউট হয়ে যায়।
নিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি করলেন পন্ত
এই ম্যাচে পন্ত টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তই বুমেরাং হয়ে যায়। কিন্তু পন্তের দাবি, টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। ম্যাচের পর পন্ত বলেন, ‘আমরা মনে করি, দল হিসেবে আমাদের জন্য (প্রথমে বোলিং করা) সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ বেশিরভাগ সময় আমরা আমাদের ব্যাটিংকে সমর্থন করি। আমাদের ব্যাটিংয়ের উপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা আমাদের বোলারদের সেরা কন্ডিশন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আজ (রবিবার) আমাদের দিন ছিল না। মুম্বই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে এবং নিজেদের দোষারোপ করার আগে, ওদের আরও বেশি কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।’
চার নম্বরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পন্ত বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। এইরকম একটা মরশুমে, যেখানে কিছুই আপনার ইচ্ছে মতো চলছে না, আপনি একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রশ্ন করতেই পারেন। কিন্তু আমি এটা করতে চাই না। যখন দল জিতছে, তখন তোমাকে সেই অনুযায়ী ভাবতে হবে। এটি একটি দলগত খেলা। আর পরাজয়ের জন্য কোনও একজন খেলোয়াড়কে দোষারোপ করাটা, আমার মনে হয় এটা অন্যায়।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনারা অদক্ষ, অকর্মণ্য… পাহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের নাম জড়াতেই পালটা তোপ আফ্রিদির
প্রশংসা করেছেন ময়াঙ্ক যাদবের
চোট সারিয়ে এই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করেন ময়াঙ্ক যাদব। এবং তিনি বেশ ভালো বোলিং করেন। রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার মতো দু'টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। ময়াঙ্কের প্রশংসা করে পন্ত বললেন, ‘ওকে ফিরে আসতে দেখে ভালো লাগছে। ও ওর ছন্দে ফিরে আসছে। আশা করি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও আরও ভালো খেলবে।’