২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু বর্ডার গাভাসকর ট্রফির চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ। তার আগে পিচ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন মেলবোর্নের হেড কিউরেটর ম্যাট পেজ। তিনি জানিয়েছেন, উইকেটে ৬ মিলিমিটার পুরু ঘাস থাকবে। এর ফলে ব্যাটসম্যান এবং বোলার উভয়ই লাভবান হবেন। এখনও পর্যন্ত বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ৩টি টেস্ট খেলা হয়েছে। প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছে ভারত এবং অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গাব্বা টেস্ট ড্র ঘোষিত হয়ে যাওয়ার কারণে এখন সিরিজের ফলাফল ১-১। সেই কারণে মেলবোর্নে জিতে লিড নিতে মরিয়া দুই পক্ষই।
বৃহস্পতিবার থেকে বক্সিং ডে টেস্ট শুরু হওয়ার আগে মঙ্গলবার ম্যাট পেজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দেখুন, বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা যা করে আসছি তার জন্য খুশি। আমাদের মনে হয় না সেটা বদলানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই তিনটি ভিন্ন পিচে তিনটি ভালো টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করেছি। তাই আমাদের লক্ষ্য বিগত কয়েক বছর ধরে যা করে আসছি তার অনুকরণে কিছু গড়ে তোলা, যাতে একটা উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের সাক্ষী থাকতে পারি।’
পেজ জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই পিচে ৬ মিলিমিটার পুরু ঘাস রাখা হয়ে আসছে এবং ৭ বছরে উইকেটে অনেক বদল এসেছে। তিনি বলেন, ‘৭ বছর আগে এখানে উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে থাকত। এরপর আমরা সকলে আলোচনায় বসি এবং স্থির করি উইকেটে ঘাস রাখা হবে, যাতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা দেখতে পারি। সেই থেকেই গত দু’বছর ধরে আমরা ৬ মিলিমিটার পুরু ঘাস রাখা শুরু করেছি। আমরা নজর রাখছিলাম। আমরা খুশি বিষয়টা নিয়ে। এখন আমাদের এটাই পুনরাবৃত্তি করা কাজ।’
তিনি জানান অস্ট্রেলিয়ার সব পিচগুলিই একে অপরের থেকে আলাদা, এটাই ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সৌন্দর্য।’ তিনি বলেন, ‘এখন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি পিচই একে অপরের থেকে আলাদা। পার্থে পেস এবং বাউন্স ছিল, একটা সময় গরমে ফাটলও দেখা যায়। অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে রাতে সুইং লক্ষ্য করা যায়। গাব্বার পিচ আবার দ্রুত এবং বাউন্সি ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে সেরকম নয়। এখানে পার্থ, ব্রিসবেনের মতো অতিরিক্ত পেস নেই। তাই আমাদের কাজ যতটা সম্ভব বেশি পেস এবং বাউন্স রাখা যায় তার চেষ্টা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা কী আগের টেস্টের পিচের মতো হবে? না। এটাই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সৌন্দর্য। তারা যখন এখান থেকে আবার সিডনিতে যাবে সেখানে স্পিন থাকবে। প্রতিটি পিচ একে অপরের থেকে আলাদা। তাই আমরা এই উইকেটে যত বেশি সম্ভব পেস এবং বাউন্স রাখার চেষ্টা করছি।’