লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক কেএল রাহুল অধ্যবসায়ের সঙ্গে নেটে প্রশিক্ষণ করেছেন। এমন কী ফিটনেস ড্রিলসেও নিযুক্ত ছিলেন। তবু মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে রাহুলকে পাওয়া যাবে কিনা, এই প্রশ্নে মুখে কুলুপ এঁটেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
সকলকে কিছুটা অবাক করে দিয়েই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে রাহুল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধু ব্যাটিংই করেন। তিনি ফিল্ডিং করেননি। নিকোলাস পুরান অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তবে ব্যাট হাতেও রাহুল পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি । ৯ বলে মাত্র ১৫ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। তবে লখনউ এই ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের দলকে ২১ রানে হারায়।
আরসিবি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করতেও এসেছিলেন পুরান। তিনি রাহুলকে নিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখব যে, ও নেটে কী করছে, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিতকে নিয়ে লেখা পোস্টার ওয়াংখেড়েতে ঢোকার আগেই ছুড়ে ফেলা হল, ভাইরাল সেই ভিডিয়ো
রাহুল পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কুইন্টন ডি'ককের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন। যাইহোক তিনি আর্শদীপের সিংয়ের বলে দ্রুত আউট হয়ে সকলকে নিরাশ করেন কেএল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুলের পরিবর্তে এলএসজি পেসার নবীন-উল-হককে নিয়ে আসে।
রাহুল নেট চলাকালীন ব্যাটিং এবং অন্যান্য অনুশীলনে অংশ নিলেও, উইকেট-রক্ষক সেশনে তিনি কিন্তু অংশ নেননি। অর্থাৎ রাহুল আরসিবি-র বিরুদ্ধে খেললেও, হয়তো শুধু ব্যাটার হিসেবেই খেলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যার অর্থ ডি 'ককই উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় থাকতে পারেন।
রাহুলের চোট নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ার পর থেকে, পুরানের উপর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। তবে ব্যাট হাতে নামলে, তিনি যে ওই একটি ক্ষেত্রেই পুরো ফোকাস করেন, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন পুরান। বলেন, ‘আমি আমার ব্যাটিংয়ে গত কয়েক বছর ধরে দারুণ ভাবে পরিশ্রম করেছি। দলের যা করার দরকার, তাই করতে পেরে আমি খুশি। একটি নির্দিষ্ট দিনে আমার যা প্রয়োজন, আমি সেটি করার জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে ২৮ বছর বয়সী পেস সেনসেশন মায়াঙ্ক যাদব যেভাবে রাতারাতি খ্যাতি পেয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট পুরান। অভিষেক ম্যাচেই সকলকে চমকে দিয়েছেন মায়াঙ্ক। ২১ বছর বয়সী দিল্লির পেসার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে পঞ্জাবকে চাপে ফেলেছেন তিনি। এই আইপিএলের দ্রুততম ডেলিভারিও করেছেন মায়াঙ্ক। তাঁর দ্রুততম বলের গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিমি।