Hardik Pandya know toss winning secret: প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে আইপিএল ২০২৫ শুরু করা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এখন জিতেছে টানা ছয় ম্যাচ। একসময় যারা পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে ছিল, তারা এখন ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। রাজস্থান রয়্যালসকে ১০০ রানে হারিয়ে এখন প্লে-অফের দরজায় কড়া নাড়ছে হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও সমান পয়েন্ট নিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফের খুব কাছাকাছি রয়েছে মুম্বই। তবে নেট রান রেটের দিক থেকে পিছিয়ে MI। আরও একটি জয় মানেই চলতি আইপিএল-এর প্লে-অফে MI-এর খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই উত্থানের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। জসপ্রীত বুমরাহর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, সূর্যকুমার যাদবের ধারাবাহিক ফর্ম, অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স, আর রোহিত শর্মার ছন্দে ফেরা। সব মিলিয়ে MI-এর জন্য এটি এক দুর্দান্ত কামব্যাক। তবে অনেকেই হয়তো খেয়াল করেননি টসেও রয়েছে MI এবং হার্দিকের ভাগ্যের ছোঁয়া। শেষ ছয় ম্যাচে তিনটি টস জিতেছে MI, যা ৫০ শতাংশ সাফল্যের হার, এবং MI-এর সাফল্যের পিছনে এটার প্রভাব কম নয়।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে টস হারলেও হার্দিক পান্ডিয়া যেন টসের নিয়ম শেখাচ্ছিলেন রিয়ান পরাগকে। কীভাবে কয়েন ছুঁড়তে হবে, কতটা জোরে এবং কতদূর পর্যন্ত। স্টার স্পোর্টসে প্রাক্তন উইকেটকিপার দীপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘হার্দিক কয়েনটা অনেক উঁচুতে ছুঁড়ে দেয়, অনেক সময় এমনকি পিছনের দিকেও। ও কিছু পদ্ধতি করে থাকে যেটা স্পষ্ট। ও এটা নিয়ে ভেবেছে, পরিকল্পনা করেছে।’ এরপরে দীপ দাশগুপ্ত বলেন, ‘হার্দিক কোনও কিছু খুঁজে পেয়েছে, ও জানে এমন করলে এটা পড়বে, এমনটা করলে ফল অন্য হবে। হার্দিক নিশ্চিতভাবে টস নিয়ে কিছু মাথা খাটিয়েছে।’
এই ম্যাচেও হার্দিক ছিলেন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমার। ব্যাট হাতে ২৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রান (৬টি চার ও ১টি ছক্কা), এবং বল হাতে ১ ওভারে ২ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন। সূর্যকুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল অবিচ্ছিন্ন ৯৪ রানের। নিজের পারফরমেন্স দিয়ে সকলের মন জেতেন হার্দিক।
এর আগে রোহিত শর্মা (৫১) এবং রায়ান রিকেলটন (৬১) ঝড়ো শুরু এনে দেন, ১১.৫ ওভারে স্কোর ছিল ১১৬। এরপর সূর্য-হার্দিক মিলে স্কোর পৌঁছে দেন ২১৭/২-এ। সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হল, হার্দিক ম্যাচ খেলেছেন চোখের ওপর কাটা অবস্থায়! সোশ্যাল মিডিয়া অনুযায়ী, ম্যাচের আগে নেটে অনুশীলনের সময় চোখের ওপর চোট পেয়ে তাঁর ৭টি সেলাই হয়েছিল হার্দিকের। যদিও HT এটি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করেনি এবং MI-ও এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক কিছু জানায়নি। তবে মাঠে হার্দিকের পারফরম্যান্স দেখে বোঝাই যায়, তিনি সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন।
আর মাত্র একটি জয় পেলেই MI নিশ্চিত করবে তাদের প্লে-অফ টিকিট, এবং সেই মুহূর্তে তাদের অধিনায়কের ১০০ শতাংশ ফিট থাকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।