শুভব্রত মুখার্জি: ২০০০ সালের প্রথম দিকে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল। চিরাচরিত বড় বড় ক্রিকেট খেলিয়ে ভারতীয় রাজ্যগুলোর বাইরে একাধিক ছোট ছোট রাজ্য থেকে উঠে আসতে শুরু করেন ক্রিকেটাররা। সেই সময়ে ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের একাধিক ক্রিকেটার ভারতের তথাকথিত ছোট রাজ্য থেকে উঠে আসেন। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি স্বয়ং ভারতের তথাকথিত ছোট শহর রাঁচি থেকে উঠে এসেছেন। এই সময়েই ভারতীয় দলের হয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় খেলতে দেখা গিয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার প্রবীন কুমারকে। উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট শহর মিরাট থেকে উঠে এসে ২২ গজ মাতিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রবীন কুমার সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রবীন কুমার একজন অসাধারণ সুইং বোলার ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ব্যাটটাও মন্দ করতেন না। ২০০৭-২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়ে ৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলার পাশাপাশি খেলেছেন ৬৮টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-২০ ম্যাচও। আইপিএলেও নিয়মিত খেলেছেন তিনি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন তিনি। যদিও অনেকেই মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার যতটা দীর্ঘায়িত হতে পারত প্রবীন কুমারের, ততটা হয়নি। অনেকেই মনে করেন, মাঠের বাইরে অতিরিক্ত মদ্যপান করার কারণেই প্রতিভা থাকার কারণেও, কাঙ্ক্ষিত উচ্চতায় প্রবীন কুমার পৌঁছতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে The Lallantop-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীন কুমার বলেন, ‘আমাকে দলের সবাই বলত সুরাপান করো না। সবাই বলত এটা কোরো না, ওটা কোরো না। সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাকে একটা কথাই বলত, সবাই এই কাজটা( সুরাপান) করে। কিন্ত আসল কথা হল, তাদের কারও বদনাম হয় না। বদনাম হয় পিকের (প্রবীন কুমারের) নাম। সবাই এটা বলবে যে, পিকে মদ্যপান করে। সবাই মদ্যপান করলেও ,বদনাম হয় পিকে।’ এরপরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো সিনিয়রা তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন কিনা? যার জবাবে পিকে জানিয়েছেন ‘আমি কারও নাম করে কিছু বলব না। ক্যামেরার সামনে কারও নাম নেব না। সবাই জানে যে, কে পিকের নাম বদনাম করেছে।’