মঙ্গলবার থেকেই ইডেন গার্ডেন্সে টিকিট কাটার জন্য লাইন দেয় ক্রিকেটভক্তরা। মহম্মদ শামির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সিএবির প্রধান চিন্তা ২২ গজ নিয়ে। শীতকালে খেলা পড়লে কমপক্ষে ১ মাস সময় লাগে পিচ তৈরি করতে।বৃষ্টির অভাব এবং শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ঘাস বড় হতে সময় নেয়। কিন্তু এবারে সেই সময় পায়নি মাঠকর্মি, কিউরেটররা
Ad
১ সপ্তাহ পরই ইডেনে ম্যাচ! কম সময়ে পিচ তৈরির চ্যালেঞ্জ! চলছে স্পোর্টিং পিচ তৈরির চেষ্টা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
হাতে সময় কম, তৈরি করতে হবে পিচ। ইডেন গার্ডেন্সে তাই দম ফেলার সময় নেই মাঠকর্মিদের। এমনিতে সাধারণত ম্যাচের অনেকদিন আগে থেকেই পিচ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি খেলা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গত বছরের শেষ পর্যন্ত ইডেনে অনেকগুলো ম্যাচ আয়োজিত হওয়ায় পর্যাপ্ত সময় মাঠকর্মিরা পাননি।
ইডেনের পিচকে গত বিশ্বকাপে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিল আইসিসি। তাই প্রেস্টিজ ম্যাটার এটা পিচ কিউরেটন সুজন মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। তিনিও মাঠকর্মিদের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন কীভাবে পিচ তৈরি করতে হবে। যাতে ইংল্যান্ড এবং ভারতের প্রথম টি২০ ম্যাচে দুই দলের ২২জন ক্রিকেটারই সন্তুষ্ট হতে পারে। আগামী বুধবার রয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম টি২০ ম্যাচ।
মঙ্গলবার থেকেই ইডেন গার্ডেন্সে টিকিট কাটার জন্য লাইন দেয় ক্রিকেটভক্তরা। তাঁরা অত পিচ নিয়ে মাথা না ঘামালেও মহম্মদ শামির প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সিএবির প্রধান চিন্তা ওই ২২ গজই। শীতকালে খেলা পড়লে কমপক্ষে ১ মাস সময় লাগে পিচ পুরোপুরি তৈরি করতে। কারণ বৃষ্টির অভাব এবং শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ঘাস বড় হতে সময় নেয়। সেক্ষেত্রে শীতের সময় উইকেটে ফাটলের সম্ভাবনা বাড়ে।
এই আবহেই আগামী বুধবার ইডেনে ম্যাচ। তাঁর আগে মাঠকর্মিরা বলছিলেন, অন্যান্যবারের মতো এবারে সময় পাওয়া যায়নি পিচ তৈরির। কারণ বোর্ডের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার একাধিক ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে গত এক মাসে। ফলে পিচ ব্যবহার হয়েছে অনেকবার। এছাড়াও সিএবির নিজস্ব প্রতিযোগিতার ম্যাচও হয়েছে এখানে।
মাঠকর্মিরা চেষ্টা চালাচ্ছেন স্পোর্টিং উইকেট তৈরির। এমনিতে আইপিএলে অনেকক্ষেত্রে ফ্ল্যাট উইকেটের অভিযোগ উঠছিল যখন ২০০র বেশি রানও চেজ হচ্ছিল। কিন্তু সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন পিচ ভালোই হচ্ছে, এখানে বোলিং খারাপ হয়েছে। কিন্তু ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে সেকথা বলার সুযোগ মিলবে না। তাই ক্রিকেটের নন্দন কাননে লাস্ট মূহূর্তে স্টেজে এসে পারফর্ম করতে মরিয়া পিচ কিউরেটর, মাঠকর্মিরা। যাতে সিএবির সম্মানরক্ষা হয়। আর ভালো খেলা দেখায় আশায় আপামোর ক্রিকেটপ্রেমীরা।