আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়ে মাথা গরম করলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ডাগআউটে সামনে গিয়ে সপাটে নিজের হেলমেটকে বলের মতো করে শট মারেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তিনি কতটা বিরক্ত ছিলেন সেটাই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর এই কাজে। এরপর ডাগআউটে বসতে যাওয়ার সময় নিজের ব্যাটও ছুঁড়ে ফেলে দেন।
কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ছবি- স্ক্রিনশট (এক্স)
টি২০ লিগের ম্যাচে হঠাৎই মাথা গরম করে শিরোনামে উঠে এলেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ক্যারিবিান দলের এই ক্রিকেটার এক সময় দেশকে জিতিয়েছিলেন টি২০ বিশ্বকাপ। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের অন্যতম কারণই ছিলেন এই তারকা ব্যাটার। পরপর চার বলে চারটি ছয় মেরে নিজের বিভৎস শক্তির নিদর্শন রেখেছিলেন ব্র্যাথওয়েট। এরপর ক্যারিবিয়ান দলে দীর্ঘদিন খেলেছেন। শেষ কয়েক বছর ধরে আর তিনি খেলেননি। ঘরোয়া ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের হয়েই তাঁকে দেখা গেছিল।
২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের সময় ক্যারিবিয়ানদের জার্সিতে তাঁকে দেখা যায়নি, আইসিসির হয়ে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও তাঁর পারফরমেন্স যে মোটেই খারাপ হয়নি, সেটাই প্রমাণ করতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলছিলেন কার্লোস। তবে সেখানেও ভাগ্য সাথ দিল না তাঁর। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে এতটাই বিরক্ত হলেন তিনি, যে মাথা গরম করে শিরোনামে উঠে এলেন।
টি১০ লিগে খেলার সময় নবম ওভারে জোস লিটলের বলে ঘটনাটি ঘটে। জ্যাগুয়ার্সের জোস লিটলের করা বল স্ট্রাইকার্সের কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের কাঁধে লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে যায়। বোলার এবং উইকেটরক্ষক আউটের দাবি জানানোর পর আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। যা দেখে কিছুটা হতবার হয়ে যায় ক্যারিবিয়ান কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। ক্রিজেই দাঁড়িয়েছিলেন প্রথমে। এরপর আসতে আসতে ছাড়তে থাকেন মাঠ। কিন্তু তখনও চোখে মুখে ছিল বিরক্তির স্পষ্ট ছাপ। বারবার ফিরে ফিরে পিছনে তাকালেন আর মাথা নাড়ছিলেন, বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল। এরপর রিপ্লেতে দেখা যায় ব্র্যাথওয়েটের কাঁধেই বল লেগেছিল, ব্যাটে লাগেনি। একঝলকে সেই ভিডিয়ো-
এরই মধ্যে মাথা গরম করে তিনি ডাগআউটে সামনে গিয়ে সপাটে নিজের হেলমেটকে বলের মতো করে শট মারেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তিনি কতটা বিরক্ত ছিলেন সেটাই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর এই কাজে। এরপর ডাগআউটে বসতে যাওয়ার সময় নিজের ব্যাটও ছুঁড়ে ফেলে দেন। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন ব্র্যাথওয়েট। এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কম্পিটিটিভ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের ওপর ঠিক কতটা চাপ থাকে পারফর্ম করার। আর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সেটা করতে না পারলে কতটা খারাপ লাগে।