পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অল্পের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া হল বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৪৪৮-৬ এর জবাবে বাংলাদেশ দল করল ৫৬৫ রান। বড়সড় অঘটন না ঘটলে ম্যাচ ড্রয়ের পথে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে বড় রান তুলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এমনিতে প্রথম টেস্টের উইকেট দ্বিতীয় দিনের শেষ থেকেই ব্যাটিং সহায়ক হয়ে গেছিল, তবুও মনে করা হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের কিছুটা চাপে ফেলতে পারে পাকিস্তানের বোলাররা, কারণ পাক পেসাররা বেশ ছন্দে থাকেন নিজেদের ডেরায়। কোথায় কি? পাকিস্তান বোলারদের ওপর কার্যত বুলডোজার চালিয়ে দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। একটুর জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া করলেন মুশফিকুর রহিম, নাহলে তো রানের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়তে পারত। লিটন দাস চতুর্থ দিনের শুরুতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি উইকেটে, তবে তার জন্য বাংলাদেশের বড় রান তোলা আটকায়নি।
বর্ষিয়ান ব্য়াটার মুশফিকুর রহিম টেলেন্ডারদের নিয়েই লড়াই চালিয়ে যান এবং দলকে বেশ ভালো রানের লিড দেন। এই টেস্টের এই মূহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে বড়সড় অঘটন না ঘটলে এই ম্যাচ ড্র হতেই চলেছে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান দল করেছিল ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের থেকে ১১৭ রানের লিড নিল বাংলাদেশ। ৫৬৫ রানে অল আউট হল বাংলাদেশ দল।
১৯১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। লিটন দাস আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনিও যোগ্য সংগত দেন রহিমকে। মেহেদি হাসান করেন ঝকঝকে ৭৭ রান। সেই সুবাদেই ৫৫০ রানের গণ্ডি টপকে যায় বাংলাদেশ শিবির। আওয়ে টেস্টে এমন ইনিংস মনে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের। যদিও মাত্র ৯ রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া হওয়ায় আফশোস যাচ্ছে না মুশফিকুরের। মহম্মদ আলির বলে উইকেটের পিছনে মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়ে, মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর। শেষদিকে শরিফুল ইসলাম, ১৪ বলে ২২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন পাক বোলারদের শাসন করে।
চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশানে খেলতে নেমে পাকিস্তান দল শুরুতেই উইকেট হারায়। মাত্র ১ রান করেন সাজঘরে ফেরেন স্যাম আয়ুব। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নেন নাসিম শাহ। ২টি করেন উইকেট নেন পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, খুররাম শেহজাদ, মহম্মদ আলি। একটি উইকেট নেন স্যাম আয়ুব। পরিস্থিতি যা তাতে পঞ্চম দিনে অঘটন কিছু না ঘটলে এই ম্যাচ নিষ্ফলাই হতে চলেছে। চতুর্থ দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ২৩ রান।