পার্থে টেস্ট অভিষেকে ব্যাট হাতে নজর কাড়তে পারেননি ন্যাথন ম্যাকসুইনি। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেন তিনি। তবে ব্রিসবেনের তৃতীয় টেস্টে জসপ্রীত বুমরাহদের সামনে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি ম্যাকসুইনি।
তিন ম্যাচের পারফর্ম্যান্স দেখেই অজি নির্বাচকরা চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকে ছেঁটে ফেলন ম্যাকসুইনিকে। এমনটা নয় যে, ম্যাকসুইনি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাকি ব্যাটাররা চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে আহামরি পারফর্ম্যান্স উপহার দিচ্ছেন। ট্র্যাভিস হেড ছাড়া বাকিরা কেউই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। তবু সিরিজের শেষ ২টি টেস্টের দল থেকে নবাগত ম্যাকসুইনিকে ছেঁটে ফেলায় অখুশি প্রকাশ করেন অজি প্রাক্তনিরা।
ম্যাকসুইনি নিজেও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে হতাশা প্রকাশ করেন। তবে ব্যাট হাতেই যে জাতীয় নির্বাচকদের এই উপেক্ষার জবাব দিতে হবে, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। বর্ডার গাভাসকর ট্রফি থেকে বাদ পড়েই ম্যাকসুইনি নেমে পড়েন বিগ ব্যাশ লিগে। প্রথম ম্যাচেই তিনি বিধ্বংসী হাফ-সেঞ্চুরি করে জয় এনে দেন ব্রিসবেন হিটকে।
রবিবার গাব্বাতেই বিবিএলের নবম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার ও ব্রিসবেন হিট। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অ্যাডিলেড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৪ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
জেমি ওভার্টন দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৫ রান করেন। ২৪ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন ম্যাথিউ শর্ট ১২ বলে ১৩ রান করেন। মারেন ২টি চার। ক্রিস লিন ২৪, ওলি পোপ ৩৪, অ্যালেক্স রস ২০ ও জেমস ব্যাজলি ২৩ রানের যোগদান রাখেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ব্রিসবেন হিট শেষ বলের থ্রিলারে জয় তুলে নেয়। তারা ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাকসুইনি ৪৯ বলে ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ২৭ বলে ৫৪ রান করেন ম্যাট রেনশ। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ম্যাকসুইনি।
উল্লেখ্য, ন্যাথন ম্যাকসুইনি চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ৩ ম্যাচের ৬টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৭২ রান সংগ্রহ করেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৩৯ রানের।