রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে একটি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ ডিসেম্বর। এলাহাবাদ হাইকোর্ট, অই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিনে এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য শুনতে চেয়েছে। গোটা মামলার সূত্রপাত, এস ভিগনেশ শিশিরের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে। তিনি এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। শিশিরের অভিযোগ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধীর কাছে ইউকের নাগরিকত্ব রয়েছে।
এদিনের শুনানির সময় ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল এসবি পান্ডে কোর্টকে জানিয়েছেন যে এই মামলার আবেদনের রিপ্রেজেন্টেশন পেয়েছে কেন্দ্র। আর সেই আবেদন নিয়ে কেন্দ্র আপাতত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাহুল গান্ধী ভারতীয় নাকি ব্রিটিশ? তাঁর কি সত্যিই দুটি নাগরিকত্ব রয়েছে? এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পরের শুনানিতে এই বিষয়ে কী উঠে আসছে, তা যেন কোর্টকে জানানো হয়। কোর্ট জানতে চায়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় কেন্দ্র এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করবে। কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে কোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ওম প্রকাশ শুক্লার ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে কেন্দ্রের মতামতের দিকে তাকিয়ে।
( Pakistan Violence Latest: ইসলামাবাদ যেন দুর্গ! পাকিস্তানে ইমরান সমর্থকদের মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্র, মৃত ৫)
( Purnima 2024: বছরের শেষ পূর্ণিমা আসছে খুব শিগগিরই! রইল তারিখ, তিথি, ব্রহ্মমুহূর্তের সময়)
এদিকে পিটিশনার ভিগনেশের অভিযোগ যে, তাঁর কাছে প্রমাণ রয়েছে যে রাহুল গান্ধী ব্রিটেনের নাগরিকত্ব ধারণ করেন। তিনি ভিএসএস শর্মার মামলার প্রসঙ্গ তুলে এই বিষয়টির দাবি করেন।শিশিরের আবেদনে ভিএসএস শর্মার দায়ের করা আরও একটি ২০২২ পিটিশনেরও উল্লেখ রয়েছে যিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্বের বিষয়ে বিশদ চেয়েছিলেন। এই তথ্য দিয়েছে বার অ্যান্ড বেঞ্চ। আবেদনকারীর মতে, গান্ধীর নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্যের জন্য শর্মা ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। যদিও যুক্তরাজ্য সরকার কিছু বিবরণ নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।