
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভোজন রসিক বাঙালির পাতে ডিমের চাহিদা কম নয়। ডিম হল কম দামে পুষ্টিকর খাদ্য। তাই এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ডিমের চাহিদা থাকে বাংলায়। যার মধ্যে গত বছর রাজ্যে ডিমের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪০০ কোটির মতো। এর মধ্যে বেশিরভাগ ডিম উৎপাদিত হয়েছিল এরাজ্যে। তবে চাহিদা থাকায় ভিন রাজ্য থেকেও ডিম আমদানি করতে হয়েছিল। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পোল্ট্রি ব্যবসা যেমন উন্নত হয়েছে তেমনি ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে। এই অবস্থায় ২০২৪ সালের মধ্যেই পশ্চিমবাংলা ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ডিম আপনার হার্টের ক্ষতি করছে না তো? কী বলছেন ডাক্তার?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিমের চাহিদা মেটানোর জন্য ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা হয়েছিল ৪০০ কোটির মতো ডিম। তবে এ বছর ডিমের আমদানির পরিমাণ কমে হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি। এর কারণ পোল্ট্রি চাষে বাংলায় উন্নতি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে যে পরিমাণ ডিমের চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ ডিম এ রাজ্যের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা উৎপাদন করতে পারবেন। ফলে ভিন রাজ্য থেকে আর ডিম আমদানির প্রয়োজন হবে না। উলটে ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ভিন রাজ্যে ভিম রফতানি করা সম্ভব হবে।
অনেকেরই মাংস বা মাছ কেনার সামর্থ থাকে না। কম দামে ডিমের মতো পুষ্টিকর খাদ্যের কোনও তুলনা নেই। তাই ডিমের চাহিদা রয়েছে সর্বত্র। এমনকী স্কুলের মিড ডে মিল এবং আইসিডিএস সেন্টারগুলিতে ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই সমস্ত সেন্টারগুলিতে প্রায় প্রতিদিনই ডিমের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ডিম উৎপাদনের উপরে রাজ্য সরকার জোর দিচ্ছে। বিভিন্ন সেল্ফ হেল্প গ্রুপ ঘরে বসে ডিম উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ২০১৮–১৯ সালে এই ক্ষেত্রে বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৩৩ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে এই অর্থ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৪ গুণ বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
গত বছরে রাজ্যের ইন্সেন্টিভ স্কিমের আওতায় ১৫৬টি বেসরকারি পোল্ট্রি প্রজেক্ট তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে ১০৭ টি প্রজেক্ট থেকে ডিম উৎপাদন হচ্ছে। সেখান থেকে বছরে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ১৪১ কোটি ডিম। এছাড়া বাকি ইউনিটগুলিও ডিম উৎপাদন করতে শুরু করবে।সেখানে প্রায় ৮৬ কোটি দিন মিলবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাছাড়া রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৩ লাখ মুরগি রাখার ক্ষমতা বিশিষ্ট ৫ টি সরকারি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করা হবে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, মালদহের ইংলিশ বাজার, পুরুলিয়া শালবনি, হরিণঘাটাতে এগুলি তৈরি করা হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে আরও ডিমের উৎপাদন বাড়বে। উল্লেখ্য, সারা ভারতে ডিম উৎপাদনে চার নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবাংলা। সেক্ষেত্রে খাসির মাংস উৎপাদনে এক নম্বরে রয়েছে বাংলা।
আগামী দিনে ডিমের উৎপাদন আরও বাড়লে সেক্ষেত্রে ভিন রাজ্যে ডিম রফতানি করা যাবে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports