অক্ষয় তৃতীয়ায় আদালতে মুখ পুড়ল মহম্মদ ইউনুসদের। কারণ রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতারির পাঁচ মাস পরে অবশেষে জামিন পেলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাস তথা চিন্ময় প্রভু। হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান এবং বিচারপতি আলি রেজার বেঞ্চ তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। যদিও আদৌও তাঁকে আজ জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে একটি মহলের তরফে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ পরপর কয়েকদিন ছুটি আছে বাংলাদেশে। তারইমধ্যে একাংশের ধারণা, হাইকোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারিভাবে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।
‘সত্যের জয় সর্বদা নিশ্চিত’, চিন্ময় প্রভুর জামিনে স্বস্তির হাওয়া
সেই উদ্বেগের মধ্যেই চিন্ময় প্রভুর জামিনের আর্জি মঞ্জুর হওয়ায় উচ্ছ্বাসপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। তেমনই একজন বলেছেন, ‘অবশেষে জামিন পেলেন চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু। দীর্ঘ ছয় মাস লড়াইয়ের পরে সত্যের জয় হল। সত্যের থেকে বড় কিছু নেই। সত্যের জয় সর্বদা নিশ্চিত।’ অপর একজন বলেন, ‘অবশেষে জামিন দিতে বাধ্য হল চিন্ময় দাসকে।’
চিন্ময় প্রভুকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে
আসলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে। তারইমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময় প্রভুকে। তারপর থেকে বিনা বিচারে তাঁকে জেলে বন্দী রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনার মাঝে ইউনুসের কণ্ঠে বাংলাদেশের সেনার ঢালাও প্রশংসা! কী নিয়ে বললেন ‘আশ্বস্ত হলাম’?
চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন মানুষ
খাতায়কলমে গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামে এক বিএনপি নেতার দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হলেও অভিযোগ উঠেছিল যে হিন্দু হওয়ায় সন্ন্যাসীকে ফাঁসানো হচ্ছে। আর তা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বাংলাদেশ, ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এমনকী ভারত সরকারের তরফেও কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দেশের জন্য শহিদ হন, শৌর্যচক্র জয়ী সেই কনস্টেবলের মা'কে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত?
তীব্র প্রতিবাদ ভারতেরও
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, 'হিন্দু এবং সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আর্জি জানাচ্ছি আমরা। শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত এবং বাকস্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষিত করারও আর্জি জানাচ্ছি।' সেইসঙ্গে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, ‘শ্রী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি এবং জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি আমরা।’