রাজ্যের পথ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইএম বাইপাস। ইএম বাইপাসে ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দু’বছরে এই জায়গাগুলিতে ২৭৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৫ জনের। এই অবস্থায় ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পথ দুর্ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের পর তা কমিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কমিয়ে অর্ধেক করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার ভিত্তিতে এইসব জায়গায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইএম বাইপাস সহ রাজ্যের মোট ৬টি জায়গায় এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়তে চলেছে লেন, মেট্রোপলিটানে আরও চওড়া হবে ইএম বাইপাস সড়ক
সূত্রের খবর, খড়গপুর আইআইটির সহযোগিতায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ইএম বাইপাসের দুর্ঘটনাপ্রবণ অংশগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশ, নগরোন্নয়ন দফতর এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাদের নিয়ে এই সমীক্ষা চলে। জানা গিয়েছে, ইএম বাইপাসের অজয়নগর থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার পথ জুড়ে সমীক্ষা হয়েছে। এই এলাকা পড়ছে কলকাতা পুরসভার মধ্যে।
খড়গপুর আইটির বিশেষজ্ঞরা গত সপ্তাহে এই সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বাইপাসের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন। রুবি, ভিআইপি বাজার, সায়েন্স সিটি, মেট্রোপলিটন, চিংড়িঘাটা, হাইল্যান্ড পার্ক, অজয়নগর, মুকুন্দপুর, কালিকাপুর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ মোড়ে সমীক্ষা চালানো হয়। মূলত পথচারীরা কীভাবে রাস্তা পার করছেন? রাস্তায় যানবাহনের চাপ কেমন? বাসস্টপে কেমন ভিড় হচ্ছে? ট্রাফিক সিগন্যাল, মেট্রো স্টেশন লাগোয়া রাস্তায় গাড়ি চলাচলের প্রকৃতি খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা।