বর্তমানে রাজ্যে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক নিউরো মেডিসিন এবং সার্জারির হাসপাতাল রয়েছে। এবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শহরে তৈরি হতে চলেছে সম্পূর্ণ স্নায়ু রোগের চিকিৎসার অত্যাধুনিক হাসপাতাল। কলকাতার কনভেন্ট রোডে এই হাসপাতাল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য ৫৯ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এই হাসপাতাল গড়ে উঠলে রোগীদের মোটা টাকা খরচ করে আর বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে না। (আরও পড়ুন: বিতর্কের ধুলো উড়তেই তৈরি ঝাঁটা, ওয়াকফ সংশোধনীর জন্যে গড়া হচ্ছে 'স্পিডব্রেকার')
আরও পড়ুন: নিউরো সায়েন্সের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন রোগী, হুলস্থুল কাণ্ড মল্লিকবাজারে
জানা যাচ্ছে, এই হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি গবেষণার কাজও চলবে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে সাত তলার বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তার জন্য পূর্ত দফতর ইতিমধ্যেই হাসপাতালের প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজে সেরে ফেলেছে। হাসপাতালে সর্বক্ষণের জন্য অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি নিউরো সার্জারি এবং নিউরো মেডিসিনের পোস্ট ডক্টরাল কোর্স করানো হবে এই হাসপাতালে। এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুটি সাবস্টেশন রাখা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে এই হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এই জমিটি ইতিমধ্যে অধিগৃহীত রয়েছে। নিয়ম মেনে অনুমোদনের জন্য মেডিক্যালের অধ্যক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালে গড়ে তোলার জন্য তিন দফায় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। যার মধ্যে প্রথম দফার অর্থ বরাদ্দ ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভিসা দেয় না ভারত, এহেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট বিশ্বতালিকায় কত নম্বরে?)
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে ওয়াকফ যেন 'পচা শামুক', পা কাটল শাসকদলের, পদত্যাগ ৫ নেতার
কী কী ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে এই হাসপাতালে?
সূত্রের খবর, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি সেরিব্রাল স্ট্রোকের চিকিৎসার পর ফলো আপের জন্য আলাদা বিভাগ থাকবে এই হাসপাতালে। যদিও বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজিতে স্নায়ুর জটিল রোগের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকে। তবে এখানে রোগীর চাপ অত্যাধিক বেশি। ফলে পৃথক হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই সমস্যার সমাধানের জন্যই এই পদক্ষেপ রাজ্যের। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে কাজ শুরু করার। এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতর।