রাত পোহালেই একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন ধর্মতলায় এসে পৌঁছবেন। শহর–শহরতলি থেকে গ্রামবাংলার সব পথ গিয়ে মিশবে ধর্মতলায়। আর এই আবহে মানিকচকের এনায়েতপুরের ঘটনা নিয়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে কড়া প্রশ্ন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ বিরক্ত দেখায়। আর এই ধরনের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। যা করার সেটা প্রশাসন করবে। দলের কেউ কিছু বলবে না বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ, শনিবার সেখানে পরিদর্শনে এসেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলা থেকে কর্মী–সমর্থকরা এসে কলকাতার নানা প্রান্তে রয়েছেন। সকাল হতেই সবাই ধর্মতলামুখী হবেন। কোনও অঘটন না ঘটলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পরবর্তী রাজ্য সভানেত্রী হচ্ছেন সোনারপুরের মেয়ে রাজন্যা হালদার। তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের পরে রাজ্যের ছাত্র সংগঠনের দায়িত্বে আসতে পারেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী। একুশে জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে রাজন্যার নাম ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। দৌড়ে রয়েছেন আরও এক ছাত্রনেতা সুদীপ রাহাও। তৃণাঙ্কুরকে সাংসদ সায়নী ঘোষের জায়গায় বসাতে পারে দল।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিল মেট্রো রেল, একুশে জুলাই বিশেষ ব্যবস্থা শহরের লাইফ লাইনে
আজ, শনিবার সমাবেশ স্থলে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সমাবেশ স্থল খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন জেলার নেতারাও। সেখানেই আজ বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে এনায়েতপুরের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আর তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান সাবিত্রী দেবী। যখন দু’পক্ষের কথা চলছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে স্পিকটি নট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাবিত্রী মিত্রকে জানান, যারা এমন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন সাবিত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, গত দেড় মাস ধরে ওই এলাকায় লোডশেডিং ঘটেছে। কংগ্রেসের এক নেতার উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে আসা নেতা–কর্মী–সমর্থকদের খবর নেন। কারও যেন অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর দিতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাশ সামলানো রেলের কাজ। এমন বড় সভা সমাবেশ থাকলে রেলকে বাড়তি ট্রেন চালাতে হয়। আমি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সেটা করেছিলাম। যাকে ফলে ফ্রিক্যুয়েন্সি বাড়ানো। দূর থেকে হেঁটে এই সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন কর্মী–সমর্থকরা। শান্তিপূর্ণভাবে, মাথা ঠান্ডা রেখে এই সমাবেশে যোগ দেবেন। বাসের চালককে বলবেন গাড়ি ধীরে চালাতে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। পুলিশকে নজর রাখতে বলেছি। ট্রেন যাতে বাতিল বা বন্ধ না হয় তার জন্য আমরা ১৫ দিন আগেই অনুরোধ করেছিলাম।’