কয়েকদিন ধরে মেয়েটি নিস্তেজ হয়ে রয়েছে। এমনকী কথা বলা বন্ধ করেছে বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে। আবার পড়াশোনায় মন নেই মেয়েটির। অথচ দশম শ্রেণির ছাত্রী। এই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিল পরিবার। আর তাতেই অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। মাঝে একাকী ঘরে বসে কাঁদছিল মেয়েটি। সেটাও লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু তার কী হয়েছে? সেটা খোলসা করে বলছিল না। তাই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল অভিভাবকদের। অনেক অনুরোধ করার পর একদিন প্রকাশ্যে আনল ঘটনাটি। আর অঝোরে কাঁদল সবার সামনে। যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে দিল এই ছাত্রীটি। সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে পরিবার।
ঠিক তারপর কী হল? পরিবারের সদস্যরা সব শুনে বাড়ির নিকটবর্তী থানায় অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল পাটুলি থানা এলাকায়। তাই স্থানীয় থানা তাঁদের পাটুলিতে যেতে বলেন। সেখানে বিস্তারিত অভিযোগ জানায় পরিবার। কিশোরীর পরিচয় যাতে কোনওভাবে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য সবকিছু গোপন রাখা হয়। পুলিশকে সবকিছু জানানো হলে তদন্ত শুরু হয়। তখনই সামনে আসে কিশোরীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া শিহরণ জাগানো ঘটনা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এক বন্ধুর মাধ্যমে একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ হয় মেয়েটির। তারপর থেকে নানা কথা চলতে থাকে তাদের মধ্যে। আর সেখান থেকে তৈরি হয় বিশ্বাস। তারপর একদিন মেয়েটিকে নিমন্ত্রণ করে ওই বন্ধুরা। মেয়েটি তখন সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাদের ফ্ল্যাটে যায়। এরপর মেয়েটিকে জোর করে মদ্যপান করিয়ে নগ্ন করা হয়। তারপর মেয়েটিকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে একজন। এমনকী এই গোটা ঘটনাটি দ্বিতীয় বন্ধু ভিডিয়ো করে রাখে। তখন থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা। নাবালিকা মেয়েটিকে লাগাতার ব্ল্যাকমেল করে তাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে অভিযুক্তরা।