বিগত মাসগুলি বেশ কয়েকটি ইস্যুতেই চাপে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আরজি কর থেকে চাকরি বাতিল আর সাম্প্রতিকতম মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের এই সব কঠিন সময়ে অনেক সাংসদ, বিধায়ককেই দলের হয়ে কোনও কথা বলতে দেখা যায় না। এই নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দাবি করেছেন যে দলের আইটি সেল মজবুত না। এরই মাঝে আবার ইউসুফ পাঠানের মতো সাংসদ সম্প্রতি ট্রোল হয়েছেন মুর্শিদাবাদ হিংসার আবহে। তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে হিংসা না হলেও সেই একই জেলা জ্বলছিল, আর তখন তিনি শান্তিতে চা খাওয়ার ছবি পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা উঠেছিল তুঙ্গে। এই সবের মাঝে এবার দলের কর্মীদের জন্যে সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল তৃণমূল। (আরও পড়ুন: দেশে 'ধর্মীয় যুদ্ধের' জন্য দায়ী সুপ্রিম কোর্ট? সাংসদের মন্তব্য নিয়ে কী বলল BJP)
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনে ধৃত পাশের গ্রামের জিয়াউল, মমতার তত্ত্ব ভাঙছে পুলিশই?
দলের সদস্যদের জন্য শনিবার পাঁচ পয়েন্টের সোশ্যাল মিডিয়া গাইডলাইন জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে কুণাল ঘোষ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সম্প্রতি লিখেছিলেন, 'এমন কেন হয় যে একজন নেতা হয়ে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের হয়ে কেউ আর সুর চড়ান না?' মুর্শিদাবাদের ঘটনার আবহে সম্প্র ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স মিলিয়ে ১০৯৩টি পোস্ট 'ফ্ল্যাগ' করেছিল পুলিশ। সেই সব পোস্ট ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হয়েছিল একটি কোলাজ ছবি নিয়ে। সেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় বাংলায় হিংসা হয় দাবি করে বেশ কিছু সহিংস ঘটনার ছবি দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গ বিজেপি এবং সুকান্ত মজুমদার সেই পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। তবে সেই ছবিতে থাকা সব সহিংসতার দৃশ্যই ভিনরাজ্যের ছিল। পরে বঙ্গ বিজেপি এবং সুকান্ত সেই পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন। তবে খুব বেশি জন সাংসদ বিধায়ককে এই সব পোস্টের বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: 'বিশৃঙ্খল' দিল্লি বিমানবন্দরে বিরক্ত ওমর, রাত ১টায় রাজধানীর বদলে পৌঁছলেন জয়পুরে)