বাগুইআটির এক ব্যবসায়ী দম্পতির কাছ থেকে চারটি গাড়ি নিয়েছিলেন ভাঙরের কাশীপুরের এক ব্যক্তি। ব্যবসার জন্য তিনি নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা না দেওয়ায় ২০১৭ সালে ওই দম্পতি বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ তিনটি গাড়ি উদ্ধার করে। অপর গাড়ির খোঁজ মেলেনি।
এদিকে তিনটি গাড়ি থানাতেই ছিল। দম্পতির দাবি পুলিশ জানিয়েছিল চতুর্থ গাড়িটি উদ্ধার করে চারটি গাড়ি একসঙ্গে ফেরত দেওয়া হবে। এদিকে দম্পতি মাঝেমধ্যেই সেই গাড়ি গুলি থানায় গিয়ে দেখে আসতেন। এরপর ২০২১ সালে তারা আদালতের অর্ডার নিয়ে থানার কাছ থেকে গাড়ি ফেরত চান।
বাগুইআটি থানা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল তিন তিনটি দামী গাড়ি। এদিকে পুলিশের কাছে থাকা গাড়ি উধাও হয়ে যাওয়ার জেরে মহা সমস্যায় পড়েন বাগুইআটির বাসিন্দা পাপুন ভট্টাচার্য ও কিশোর ভট্টাচার্য। তাদের দাবি, থানা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে তিনটি গাড়ি। অথচ পুলিশের একাংশ বিষয়টি মিটমাট করে নিয়ে টাকা দিতে চেয়েছিল।
এদিকে গোটা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। এনিয়ে পুলিশকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে হাইকোর্টে। বিধাননগর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এনিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আদালত কার্যত হতবাক একটি থানা থেকে তিনটি গাড়ি কীভাবে উধাও হয়ে যায়।
এদিকে দম্পতির আইনজীবীর দাবি, তিনটি গাড়ি থানা থেকে উধাও হয়ে গেল, এটা অবিশ্বাস্য।
কার্যত এনিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে হাইকোর্টও।
এদিকে দম্পতির দাবি, পুলিশের কাছে বার বার গিয়েছি। পুলিশ আমাকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বারাসত আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ শুনানির সময় গিয়ে বার বার সময় চেয়ে নেয়। এদিকে ওই গাড়ি না থাকায় মহা বিপাকে পড়েছেন তারা। ব্যবসা কার্যত লাটে উঠেছে। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবেন বুঝতে পারছেন না। তাদের দাবি, পুলিশ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটমাট করতে বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি আমাদের গাড়িই চাই।
এবার প্রশ্ন গাড়িগুলি গেল কোথায়?
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সূত্রের খবর, ২০২০-২১ সালে বাগুইআটি থানায় পুরনো গাড়ি নিলামের সময় ওই তিনটি গাড়ি নিলামে তুলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের একটা মহল তেমনটাই মনে করছেন। কিন্তু পুলিশের কাছে জমা থাকা তিনটি গাড়ি কি এভাবে নিলামে তুলে দেওয়া যায়? এই প্রশ্নের জেরে অস্বস্তি বাড়ছে পুলিশের অন্দরেও।